Overblog
Follow this blog Administration + Create my blog
March 24 2011 4 24 /03 /March /2011 17:14

 

১।
দুই বন্ধুর কথোপকথন……
…এইযে কইথ্যেকে এলি?
…সবাই যেখান থেকে আসে।
…এত দেরি করে এলে কেন?
…ওটাতো বাবার জন্য।
…বাবা কি করল?
…দেরিতে বিয়ে করল।
…এখানে এত দেরি করে এলে কেন?
…ওটাতো তোর জন্য?
…আমি কি করলাম?
এলাকায় যা কিছু ঘটবে সব কিছুতেই তোর নাম।
বালতি চুরি,জুতা চুরি সব কিছুতেই তোর নাম।
…তোর বাড়িতে ছেলে হল ওখানেও আমার নাম…
২।
জীবনে কি হতে চাইবে?
…আচ্ছা তোকে যদি সুযোগ দেওয়া হয় তুই কি হতে চাইবে?
…সুযোগ পেলে ডাক্তার হতে চাইব।
…কেন?এত পেশা থাকতে ডাক্তার কেন?
…একমাত্র এই পেশা যেখানে কাউকে টেস্ট করে ফীস পাওয়া যায়।
…ডাক্তার হলে অপারেশন করতে পারবেতো?
…অপারেশন কোন ব্যাপার না…
টক করে লাইট জ্বলাব,
সেট করে রুগী ঢোকাব।
সেটা সেট চুরি কাচি চালাব,
ঠোকা ঠক সেলাইন দেব।
তার পর রুগী সাথে আসা আত্মীয়স্বজনদের 
গিয়ে বলব,সরি কিছুই করতে পারলাম না।
৩। 
বৌদি কেমন আছে?
…বৌদি কেমন আছে রে?
…মানে আমার বউ?বেশ মিষ্টি হয়ে গেছে রে।
…বিয়ের দশ বছর পর মিষ্টি হয়ে গেল বৌদি?
…ডাক্তার বলল সুগার ৪০০…
…ঔষদপত্র খাচ্ছেতো?
…ঔষদটাইতো খাচ্ছে বাকি সবতো বারণ।
…কি রকম?
…এটা খাবে না,সেটা খাবে না
এখানে যাবে না,ওখানে যাবে না,মেট্রো ছড়বে না…
…সুগারের সাথে মেট্রোর কি সম্পর্ক?
…ঐযে ডাক্তার বলল মাটির তলার জিনিষ বারণ
৪।
বউ আগের মত ভালবাসে না।
…আমার বউ আর আমাকে আগের মত ভালবাসে না রে তোকে বাসে?
…তোর বউ আমাকে ভালবাসে কি না আমি কি করে বলব বল…
…তোর বউ তোকে আগের মত ভালবাসে কি না জানতে চেয়েছি।
৫।
বিয়ের খবর।
…তোর বিয়ের কি খবর?
…ঐটাতো হব হব করছে।
…তোর হবো বউ শহরের না গ্রামের?
শহরের,টোটাল শহরের।
…ও আমি ভেবেছিলাম তোর একার।
৬।
৭।
৮।
দুই ভিক্ষুকের কথোপকথন

 

১।
…ঐ কি হচ্ছে ?
…পার্ট টাইম জব।তো এইসময়তো তোকে এর আগে এখানে দেখিনি কি ব্যাপার?
…ছোট মেয়ের বিয়েতো তাই অভার্টাইম করছি।তুই কে রে?
…আমি?আমি হচ্ছি বিবি।
…বিবি? সেতো মেয়েরা হয়!
…ঐ বিবি না।আমি হচ্ছি B.B. মানে বোবা ভিখারী।
…বোবা ভিখারী তো কথা বলছিস কেন?
…আমি হচ্ছি সাময়িক বোবা।
…ঐ মেয়ে দেখছিস কেন? তোর নাম কি?
আমার নাম?আমার নামও B.B. = Blind Beggar.
…ঐ একটু আগেইতো মেয়ে দেখছিলে?
…ঐটাই দেখি আর কিচ্ছু দেখি না।
…তো শেয়ার মার্কেটের খবর কিছু রাখিস?অনেক দিন যাই না।
…ঐ শেয়ার মার্কেটেও যেতে চাস নাকি?
…অখানে যেতাম বলেইতো আজকে ভিক্ষে করি।
…আজকে তোর ইঙ্কাম কেমন হল?
…আরে ইঙ্কাম তেমন ভাল হয়নি।আমি যে স্পটে ভিক্ষে করি সেখানে দেখি এক মন্ত্রী এসে দাঁড়াল তাই মাথাটা গরম হয়ে গেলে বেরিয়ে আসলাম।
…ওমা মন্ত্রী দেখে চলে এলে কেন?
…ওর কারবার দেখে মনে হল দু’জনের একজায়গায় থাকাটা ঠিক হবে না তাই চলে আসলাম।
…তোর ইঙ্কামের খবর কি?
…ভালই।এই দেখ একশ টাকার নোট।আগে যে স্পটে ছিলাম সেখানে এক সুন্দরী বৌদিকে দেখে ভাবলাম বৌদির মনটাও সুন্দর হবে।বললাম মা একটা টাকা দিবেন?মাফ কর বলে চলে গেল।
খানিকক্ষণ পর বৌদির বর এসে এই একশ টাকা দিয়ে গেল আর বলল ভাই,চেয়ে না পাওয়ার যন্ত্রণাটা আমি বুঝি।আমি বললাম স্যার আপনেও কি আমার মতন ভিক্ষা করেন?উত্তরে তিনি বলেন হ্যা,শুধু জায়গা আর ডিমান্ডটা আলাদা।
২।
ভিক্ষুকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
…তো তোর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
…ভবিষ্যতে নেতা হব ভাবছি।
…আরে কস কি? তাহলেতো আর ভিক্ষে করতে হবে না তোকে।
করবো।ভিক্ষে করব ঠিক।তবে পাঁচ বছরে কয়েকটাদিন মাত্র।
…আচ্ছা আজকে সন্ধ্যা বেলা কি করছিস তুই?
…আজকে সিনেমা দেখতে যাব।
…সিনেমা দেখতে?কিন্তু তুইতো অন্ধরে…
…আরে বাবা,ঐ জন্যইতো ব্লাক দেখতে যাব।
…তুই একা যাবি?
…সাথে গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে যাব।
…ওরে বাপরে ভিখারীর গার্লফ্রেন্ডও আছে…
…গার্লফ্রেন্ড আছে বলেইতো আজ আমি ভিখারী।

Share this post
Repost0
March 24 2011 4 24 /03 /March /2011 17:13

১।
স্ত্রীঃ তুমি বিয়ের আগে বলেছিলে,বিয়ের পর তুমি আমাকে আরো বেশি ভালবাসবে। 
স্বামীঃ হ্যা বলেছি,কিন্তু আমি কি জানতাম যে আমার বিয়েটা তোমার সাথেই হবে।
২।
স্ত্রীঃআগে বলতে,জান,তুমি আমার জান।আমি তোমার জন্য আমার জান কোরবান করতে পারি।আর এখন ৫০০ টাকা চাইলে তোমার চান্দী গরম হয়ে যায়।
স্বামীঃ আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি তুমি আমার জান।চাইলে আমি এখনি তোমাকে কোরবান করতে পারি। চল তোমাকে কোরবান করে আসি।
৩।
পলিটিক্যাল চরিত্র কর্মসংস্থান নিয়ে আলোচনা।
…আমারা ভাবছি আমাদের দেশে যত রাস্তার কাজ করা হয়,গর্ত খোঁড়া ইত্যাদি…
সেখানে ম্যাশিনের বদলে ১০০ লোকের হাতে কোদাল দিয়ে দিলে এতে ১০০ জনের কর্মসংস্থান হয়ে যাবে।
…তার বদলে ১০০০ লোকের হাতে চামচ দিয়ে দিলেইতো হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে যায়।
৪। 
বান্টু পুতুলের ইংরেজী…
…কেউ যদি বারে মদ না খেয়ে গাড়িতে খায় সেটা ইংরেজী কি হবে?
…কারবার।
… আগামী কাল ইংরেজী টুমরো হলে পরশু ইংরেজী কি হবে?
…টু আবার মরো।
…হাতিটি বসিল,বসিলতো বসিল এমন ভাবে বসিল,বসিয়াই রহিল ইংরেজী কি হবে?
…অ্যান এলিফান্ট স্যাট,স্যাট এন্ড স্যাট,সাচ এ স্যাট,স্যাটা স্যাট।
…বান্টু তুমি বড় হয়ে কি হতে চাও?
…মানুষ হয়ে সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করতে চাই।
…আমার পরিচিত একটি মেয়ে আছে বনলতা সেন বিয়ে করবে?
…ধুর,সে তো কবিতার মেয়ে।
…ও কবিতার মেয়ে হবে কেন? ওর মায়ের নাম সন্ধ্যা সেন।
৫। 
স্ত্রীলিঙ্গ মিথ্যে…
ক)আমি কিটি পার্টি একদম পছন্দ করি না।
খ)পরনিন্দা,পরচর্চা জীবনে কক্খনো করিণী।
গ)কলেজ জীবনে আমি কি ছিলাম।। নাচে গানে,অভিনয়ে সব বিভাগেই পারদর্শী ছিলাম
কিন্তু,বিয়ে করে সব নষ্ট হয়ে গেল।
পুংলিঙ্গ মিথ্যে…
ক)আমি বউয়ের গোলাম নই।
খ)যদি একটু মিথ্যে কথা বলতে পারতাম আজ আমারো গাড়ি,বাড়ি সব থাকত।
গ)গান ভালবেসে গান,পয়সার জন্য কখনই নয়।

হার্মলেস মিত্থ্যে বা যেগুলো বললে নিজের ভাবমুর্তি উজ্বল হয় এবং নিজেকে বেশ আদর্শবান বলে মনে হয়।
ক) কারো সাথে প্রথম দর্শনে নাইস টু মিত ইউ…
খ)অনেক চেষ্টার পরেও টাকা পয়সা না কামাতে পারলে আত্মীয়স্বজনদের বলা,যে জীবনে টাকা পয়সাই সব কিছু নয়। এছাড়াও জীবনে অনেক গভীর তাৎপর্য আছে।
গ)অনেক চেষ্টার পরও প্রোমোশন না হলে বউকে বলা,যে আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে বসের তোষামোদ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

Share this post
Repost0
March 24 2011 4 24 /03 /March /2011 17:12

আমার শাশুর শাশুড়ীর আবিষ্কার,
আমাদের মহল্লার ফ্রি নিউজ প্যাপার।
উপরওয়ালার ইমোশনাল অত্যাচার,
উনি আর কেউ না একমাত্র স্ত্রী আমার।

১। 
স্ত্রীঃ আমার বাপের নাম মুখে আনবে না…
স্বামীঃ আমি তোমার বাপের নাম মুখে এনেছে নাকি? যাই কুল্লি করে আসি।
ত্রীঃ তুমি জান না লোক আমার বাবাকে কত মহব্বত করে।একবার অসুস্থ ছিলেন সারা শহরের দোকানদার সহ পাড়াপড়শী সবাই মিলে উনার জন্য প্রার্থনা করে ছিল।
স্বামীঃ জানি,জানি,সব জানি।ওরা সবাই ছিল পাওনাদার।তোমার বাবা মারা গেলে ওনার সাথে ওদের পাওনা টাকাও যে মারা যাবে তাই সবাই মিলে…
২। 
স্বামীঃ তোমার বাবা বলেছিল বিয়ের সময় ওয়াসিং ম্যাশিন দিবেন,বিয়ের এক বছর পার হয়ে গেল আজ পর্যন্ত পাই নাই।
স্ত্রীঃ মিছা কথা কও কেন? আমাকে দেন নাই? আমি কি তোমার কাপড় ধুয়ে দেই না?
স্বামীঃ তাইতো কাপড়ের ময়লা কম আর পকেট বেশি ছাপ হয়ে যায়।
৩। 
স্ত্রীঃ বিয়ের আগে আমাকে বলতে ও আমার রসগোল্লা,আমার বরফি, আমার রসমালাই। আর এখন…
স্বামীঃ আমাদের বিয়ের ১০ বছর পার হয়ে গেছে,কোন মিষ্টি এত বছর ভালো থাকে না।দশ দিনেই নষ্ট হয়ে যায়।
৪।
স্বামীঃ তুমিও তো বিয়ের আগে আমার ছোট ছোট খুশির খেয়াল রাখতে,আর এখন সব কিছুই সন্দেহের চোখে দেখ।
স্ত্রীঃ তুমি কাজ-ই এমন কর যে আমি সন্দেহ না করে পারি না। সেদিন পাশের বাড়ির মহিলার মাথায় ফুল লাগাতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পর নাই?
স্বমীঃ ফুল লাগানো কি দোষের কিছু? সরকার-ই বলছে, গাছ লাগাও, ফুল লাগাও পরিবেশ বাঁচাও।প্রতিবেশী মহিলার মাথায় তো আর গাছ লাগানো যাবে না তাই আমি ফুল লাগাচ্ছি এতে দোষার কি?
স্ত্রীঃ গতকাল সেই প্রতিবেশী মহিলা বলেছে তুমি আবারও ওর মাথায় ফুল লাগাইছ। এক জায়াগায় বারবার ফুল লাগাতে সরকার বলেছে নাকি?
স্বামীঃ তুমি ভুল শুনেছ।আমি আগের ফুলে পানি দিচ্ছিলাম ফুল লাগাইনি।ফুল লাগাইছি যখন নিয়মিত পানিতো দিতেই হবে। আর তুমি অনুমতি দিলে মহল্লার মহিলাদের মাথায় ফুলের বাগান বানাই ফেলব।
৫।
…জানিস দোস্ত আমার জন্য রোজ ২০/২৫টা মেয়ে অপেক্ষা করে।বাসার সামন থেকে তুলে নিয়ে আসি কিন্তু মেয়েদের পরিবারের কেউ কিছু বলার সাহস পায় না।
…আরে কস কি?আমি বিশ্বাস করতে পারছি না।
…হাছা কইতেছি দোস্ত।অবাক্ হইবার কিছুই না।।আমি মহিলা কলেজের বাস ড্রাইভার তো তাই। 

Share this post
Repost0
March 24 2011 4 24 /03 /March /2011 17:11

ছেলেঃ বাবা Art না Commerce নিব?
বাবাঃ তুই তিনটাই নিবি। আমাদের কি টাকার অভাব আছেতুই শুধু মনোযোগ দিয়ে লেখা পড়া করবেটাকা যা লাগে আমি দেব
ছেলেঃ বাবা বড় লোকেরা ডাবল গ্লেজিং লাগায় কেন?
বাবাঃ ওদের বাচ্ছারা আইস্ক্রিমের গাড়ির আওয়াজ যাতে শুনতে না পারে

প্রিন্সিপালঃ তোমাদের ক্ল্যাসে সবার চেয়ে অলস কে?
রঙ্গীলাঃ এরররমজানি না
প্রিন্সিপালঃ অবশ্যই জানো আচ্ছা বলতো তোমরা যখন লেখাতে ব্যস্থ তখন কে চুপচাপ বসে থাকে বা ঘুমে পড়ে?
সাইদঃ আমাদের রাহিম Sir.

এক রাতে ওস্তাদ আর সাগরেদ ৪ তলায় বসে মদ পান করছিল। দুজনি মাতাল অবস্থায়
হঠাৎ সাগরেদ জানালা খুলে প্র.. করতে লাগে
ওস্তাদঃ বেকুব প্র করলে কেন?তোর প্র ধইরা যদি ডাকাত উপরে উঠে আসতো?
সাগরেদঃ ওস্তাদ যে কি কন নাআমি আপনার সাগরেদ না।।আমি কি টানা প্র করছি নাকি.।। আমিতো ছাইড়া ছাইড়া করেছি 

Share this post
Repost0
March 24 2011 4 24 /03 /March /2011 17:09

স্বামী তার স্ত্রীকে রাগের মাথায় থাপ্পড় মারাতে স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যাবে বলছে
স্বামী স্ত্রীর মান ভাঙ্গাতে গিয়ে বলছে
আচ্ছা আমি তোমাকে আদর করতে পারলে একটু শাসন করার অধিকারও আমার রয়েছে ঠিক না জানুজানু I Love you so much.
স্ত্রী স্বামীর গালে ২টা থাপ্পড় দিয়ে বলছে,তুমি কি মনে করেছ আমি তোমাকে ভালবাসি নাI Love you too জান.

ভিক্ষুকঃ ও সুন্দরী,এই অন্ধকে ৫টা টাকা দেন না সুন্দরী
মহিলার স্বামীঃ ও তোমাকে সুন্দরী বলছে,তার মানে সত্যিই অন্ধ১০টাকা দিয়ে দেও 

স্বামীঃ তুমি যতই চেষ্টা কর ,এই বদ-জাত ককুরটাকে আজ্ঞানুবর্তী বানাতে পারবে না
স্ত্রীঃ কেন?তোমাকে পারি নাই? 

শিক্ষকঃ আবুল বল তো বাবা… শূকরের ইংরেজী Pig হলে বাচ্ছা শূকরের ইংরেজী কি?
আবুলঃ Piglet হবে sir.
শিক্ষকঃ বাবুল তুমি বল তো বাবা বিড়ালের ইংরেজী Cat হলে বিড়ালছানার ইংরেজী কি? 
আবুলঃ Catlet হবে Sir

Share this post
Repost0
March 24 2011 4 24 /03 /March /2011 16:38

১।
শিক্ষক : একটা লম্বা শব্দ বলো তো,
ছাত্র : স্যার, রাবার।
শিক্ষক : এটি তো ছোট শব্দ।
ছাত্র : স্যার, টানলে লম্বা হবে। 
২। 
বাবাঃ আচ্ছা মা,তুমি হঠাত মধুর বাবা ডাকটা ছেড়ে আমাকে ডাড বলে ডাকার কারণ কি?
মেয়েঃ বাবা ডাকলে ঠোটে ঠোট লেগে লিপস্টিক কারাপ হয়ে যায় তো তাই।
৩।
গাছপালা কাটায় পরিবেশ বিপন্ন। পাখিরা বসার কোন যায়গা পায় না।একেবারে নিরুপায় হয়ে তারা ধর্না দিল সরকারের কাছে। সরকার জানাল, ‌’আমরা দেশের উন্নয়নের কাজে ব্যস্ত। গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজে ব্যস্ত। এখন এসব বিষয়ে দৃষ্টি দেয়ার সময় নেই।’
নিরুপায় হয়ে তাদেরকে ছুটতে হল বিরোধী দলের কাছে। তারা বলল, ‘দেশ বিপন্ন। স্বাধিনতা বিপন্ন। সার্বভৌমত্ব বিপন্ন। আমরা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ব্যস্ত। অন্যদিকে দেখ।’
তাদেরকে অন্যদিকেই যেতে হল। এবারে তারা বিমুখ হল না। তাদের পক্ষ নিল এনজিও। চারিদিকে হৈচৈ পরে গেল। ব্যানার ফেষ্টুন দেশিবিদেশি মানুষের আনাগোনা। গোলটেবিল-লম্বাটেবিল বৈঠক, পাচতারা হোটেলে সন্মেলন। একসময় হৈচৈ থামল।
পাখিদের নেতা এসে বলল, ‘আমাদের সমস্যার সমাধান কি হল ?
উত্তর এল, ‘এবার আর কিছু করতে পেলাম না। যাকিছু ফান্ড যোগাড় করেছিলাম তা প্রস্তুতি, প্রচারে আর সন্মেলনেই খরচ হয়ে গেল। দাতারা আবার হাত বাড়ালেই কাজে হাত দেব।’
৪।
গুলিস্তানের পকেটমারদের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। একজন ভাবল পরীক্ষা করে দেখি। পকেটে একটা দুটাকার কয়েন নিয়ে কয়েকবার চক্কর দিল চারিদিকে। কিছুক্ষন পরপরই পকেটে হাত দিয়ে দেখে কয়েনটা আছে কিনা। কোন পকেটমার সেটা নিতে পারেনি দেখে একসময় সে দাড়িয়ে হতাস হয়ে বলল, ‌কোথায় পকেটমার ? এতক্ষনেও কেউ আমার পকেট মারতে পারল না।
পাশ থেকে একজন বলল, পকেটে দুইটাকা নিয়া ঘুরলে কি পকেটমার পাওয়া যায় ? তিনবার হাতে নিয়া দেখছি। 
৫।
- ডাক্তার সাব, সবকিছু ভুলে যাচ্ছি। কি করা যায় বলুত তো।
- কতদিন ধরে এটা ঘটছে ?
- এ্যা ? কি ঘটছে ?
৬।
- তুমি আয়ের টাকা হিসেব করে চলতো।
- চেষ্টা তো করি। ধর বাসা ভাড়ায় চলে যায় ৬০ ভাগ, খাওয়া খরচে ৬০ ভাগ, যাতায়াত খরচে ৪০ ভাগ, ছেলেমেয়ের লেখাপড়ায় ৪০ ভাগ।
- সেকি। সেতো বেতনের দ্বিগুন হয়ে যায়।
- হা ভাই। আপাতত ঘাটতি বাজেট চলছে।
৭।
- আমি যদি মারা যাই তুমি আমার কবরের কাছে যাবে ?
- যেতে তো হবেই। ওদিক দিয়েই তো শর্টকাট রাস্তা।
৮।
- ডাক্তারসাব, আপনি বলেছিলেন সুস্থ হলে আমি সব যায়গায় হেটে বেড়াতে পারব।
- হ্যা, পারবেন তো। কেন পারছেন না ?
- না পেরে উপায় কি ? আপনার বিল দিতে গাড়িটা বেচে দিতে হল যে।
৯।
- স্যার ফোনে বোধহয় আপনাকে কেউ ডাকছে ?
- আমার নাম বলেছে ?
- না।
- তাহলে কিভাবে বুঝলে আমাকে ডাকছে ?
- ওপাশ থেকে এক মহিলা বললেন বুড়ো কেপ্পনটা অফিসে আছে ? থাকলে ডেকে দাও।
১০।
- ওভাবে হাই তোলা বন্ধ কর।
- কি করব। হাই উঠছে যে।
- অন্তত মুখের ওপর হাত চাপা দাও।
- সর্বনাশ। ভুলে নিজের হাতে কামড় দিলে হাইড্রোফোবিয়া হবে যে।
- হাইড্রোফোবিয়া।
- হ্যা। বিয়ের পর থেকে কুকুরের মত বেচে আছি।
১১।
- অবশেষে আমার মামা চিরশান্তি লাভ করলেন।
- সেকি! তোমার মামা মারা গেছেন ?
- মামা না। মামি।
১২।
- বলতো কোন ধরনের মানুষ বেশিদিন বাচে।
- যার ধনসম্পদের দিকে আত্মিয়স্বজনেরা তির্থের কাকের মত চেয়ে থাকে।
১৩।
পান খেতে খেতে দুই বন্ধু সিনেমা হলে ঢুকেছে।
- এই, পানের পিক কোথায় ফেলি বলতো ?
- পাশের জনের পকেটে ফেলে দে।
- যাহ। টের পায় যদি ?
- টের পাবে কেন ? আমি যে তোর পকেটে ফেলেছি টের পেয়েছিলি ?
১৪।
- স্যার, আপনি যদি চান রুমবয় সকালে আপনাকে ডেকে দেবে।
- দরকার নেই। আমার ঠিক ছটায় ঘুম ভাঙে।
- তাহলে স্যার, দয়া করে যদি ওইসময় রুমবয়কে ডেকে দেন।
১৫।
- ডাক্তারসাব, আমি মোটেই ভাল নেই।
- কেন ? সমস্যা কি ?
- দেখুন না, সারাদিন গাধার মত খাটি, খাই তো পাখির আহার অথচ বাড়িতে কুকুরের মত থাকতে হয়।
- আপনি ভুল ডাক্তারের কাছে এসেছেন। পশুচিকিৎসকের কাছে যান। 

 

১।হাতে-নাতে:
-
ঘড়ির কাটা একঘন্টা এগিয়ে দেয়া হয়েছে। ফল কিছু পেয়েছেন ?
-
হ। একেবারে হাতেনাতে পাকা ফল পাইছি। কাজের টাইম এক ঘন্টা বাড়ছে, লোডসেডিং বাড়ছে তিন ঘন্টা। আগে একঘন্টা না থাকলে আরেক ঘন্টা থাকার নিশ্চয়তা ছিল, অহন ঘড়ির হিসাব ছাড়াই দিনে-রাতে সমানে কারেন্ট যায়।
২।নতুন চাকরী:
-
নতুন চাকরী কেমন লাগছে ? ম্যানেজারের কথামত সব কাজ ঠিকমত করছেন তো ?
-
জ্বি স্যার। ওনার কথামত আপনি আসার ঠিক আগে ওনাকে ঘুম থেকে তুলে দিয়েছি।
৩।হাড়ির মৃত্যু:
নাসিরুদ্দিন হোজ্জার বাড়িতে মেহমান এসেছে। বড় হাড়ি প্রয়োজন। প্রতিবেশির বাড়ি গিয়ে বললেন, আপনার বড় হাড়িটা ধার দিন তো।
পরদিন সকালেই হাড়ি ফেরত দিতে গেলেন। সাথে ছোট একটা হাড়ি।
প্রতিবেশি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, এটা কি ?
হোজ্জা বললেন, এটা হাড়ির বাচ্চা। হাড়ি যখন আপনার তখন হাড়ির বাচ্চাও আপনার।
প্রতিবেশি খুশী হয়ে বাচ্চাসহ হাড়ি নিয়ে ভেতরে গেল।
কদিন পর আবারও হাড়ি ধার করতে হল হোজ্জাকে। সেই হাড়ি আর ফেরত দেন না। একসময় বাধ্য হয়ে প্রতিবেশি এসে হাড়ি চাইল।
হোজ্জা বললেন, আপনার হাড়ি মারা গেছে।
প্রতিবেশি রেগে গেল শুনে, হাড়ি মারা যায় এমন কথা কেউ শুনেছে ?
হোজ্জা বললেন, হাড়ির যদি বাচ্চা হতে পারে তাহলে মরতে দোষ কোথায় ? 
৪।হস্তরেখা:
-
জ্যোতিষী বাবু, আমার হাতটা ভাল করে দেখুন তো। অতীত-ভবিষ্যতের কথা কিছু বলুন।
-
আপনি কিছুক্ষন আগে ভালমন্দ খেয়েছেন।
-
সে-কি। সেটাও হাতে লেখা আছে নাকি ?
-
না। আসলে হাতে এখনো মাংশের ঝোল লেগে আছে।
৫।মন্তব্য প্রতিমন্তব্য:
মন্তব্য :
রাজধানীতে দ্বিতল সড়ক নির্মান করা হবে।
যোগাযোগমন্ত্রী
প্রতিমন্তব্য :
শহরটারে দোতলা বানাইলে ভাল ছিল না!
৬।লজ্জা:
রাতে চোর ধরা পরে গেল। বাড়ির মালিক আচ্ছামত পিটালেন তাকে। তারপর বললেন, চুরি করিস লজ্জা করে না!
চোর বলল, লজ্জা করে বলেই তো রাতের বেলা ঢুকেছি।
৬।জিত:
-
বাচাও, বাচাও কে কোথায় আছো বাচাও। একটা লোক একঘন্টা ধরে বাবাবে মারছে।
-
একঘন্টা ধরে মারছে ? এতক্ষন বলনি কেন ?
-
এতক্ষন যে বাবা জিতছিল।
৭।কাট এন্ড পেষ্ট:
ভদ্রলোক কম্পিউটার ব্যবহারে নতুন। কম্পিউটারে ইমেইল সফটওয়্যার ইনষ্টল করার পরও ব্যবহার করতে পারছেন না। শেষমেশ ফোন করলেন;
-
ওয়ার্ডের লেখা কিভাবে মেইল করব বলুন তো।
-
কাট এন্ড পেষ্ট করুন।
-
লিখলাম cut and paste তারপরও কাজ হচ্ছে না।

Share this post
Repost0
March 24 2011 4 24 /03 /March /2011 16:27

১।পার্কিং নিষেধ:
ট্রাফিক পুলিশের সিগনাল না শুনে একটা গাড়ি এগিয়ে গেল সামনে। মোটরসাইকেলে বসা সার্জেন্ট রেগে গিয়ে ধাওয়া করল তাকে। একসময় থামাল রাস্তার পাশে, থামলে বললাম, থামলেন না কেন ?
চালক বলল, থামব কিভাবে ? ওখানে লেখা আছে পার্কিং নিষেধ।

২।পেটের ব্যথা:
-
ডাক্তার সাব, আমার পেটের ব্যথা আরো বেড়ে গেছে।
-
আপনাকে বারবার বলেছি দুবছরের বাচ্চা যা খায় তাই খাবেন।
-
তাই খেয়েই তো এই অবস্থা।
-
সেকি! কি খেয়েছেন ?
-
জুতার ফিতা, বোতাম, কলমের ক্যাপ

৩।তোমার নামেঃ
বাবা তুই যে বারবার ফ্রিজ থেকে খাবার এনে খাচ্ছিস, তোর মা বকা দেবে না ?
ছেলে না। আমি তো তোমার নাম করে আনছি- 

৪।স্বভাব থেকে জানাঃ
-
ছবিটা সূর্যোদয়ের না কি সূর্যাস্তের?
-
সূর্যাস্তের, কোনো সন্দেহ নেই।
-
কীভাবে নিশ্চিত হচ্ছো। সুর্যোদয়েরও হতে পারে।
-
আর্টিস্টকে আমি চিনি। বারটার আগে কোনো দিন ঘুম থেকে ওঠে না।

৫।পায়ের ব্যবহারঃ
ব্যাটা পাজি কোথাকার। লাথি মেরে একেবারে ভর্তা বানিয়ে দেব।
-
কেন, আমার বুঝি পা নেই।
-
কি, এতবড় কথা। তুই আমাকে মারবি ?
-
দৌড় দেব।

৬।সঞ্চয়ঃ
-
দুর্যোগ, দুর্দিনের জন্য কিছু জমিয়ে রেঝেছ ?
-
কেন। আমার ছেড়া ছাতা।

৭।আয়ুঃ
-
বলতো কোন ধরনের মানুষ বেশিদিন বাচে।
-
যার ধনসম্পদের দিকে আত্মিয়স্বজনেরা তির্থের কাকের মত চেয়ে থাকে।

৮।নাটকঃ
-
নিজে এক মিনিটের নাটক বানাতে পারেন না আবার সমালোচনা করেন, নাটক নিয়ে জ্ঞান দিতে আসেন।
-
আমি মুরগির মত ডিম পাড়তে পারি না তবে ডিমের ওমলেটের ভালমন্দ মুরগির চেয়ে ভাল বুঝি।
৯।উপহারঃ
-
আমাকে যে বাশিটা কিনে দিয়েছো সেটা আমার সবচেয়ে ভাল উপহার।
-
তাই নাকি ?
-
হ্যা। ওটা না বাজানোর জন্য মা প্রতিদিন আইসক্রিম কিনে দেয়।

১০।গরমঃ
-
খাবারের মধ্যে পোড়া মাছি দেখা যাচ্ছে। ব্যাপার কি ?
-
খাবারটা খুব গরম স্যার। গরমে পুড়ে মরেছে।

১১।প্রাননাথঃ
-
বাইগুনের কেজি কত ?
-
কি বললেন ? বাইগুন ? এর নাম বেগুন। এত সুন্দর একটা নাম থাকতে বলেন বাইগুন।
-
সুন্দর নাম! সুন্দর নামে ডাকলে বেগুন দরকার কি. প্রাননাথ বললেই হয়। দাও দেখি এক কেজি প্রাননাথ।

১২।অর্ধেকঃ
জর্জ বার্নার্ড স সুবক্তা ছিলেন। মানুষ ভিড় করে তার বক্তৃতা শুনতে যেত। জানা যায় একবার তিনি বক্তৃতার সময় বলেছিলেন, আমি দেখতে পাচ্ছি আমার সামনে অর্ধেক মানুষই মুর্খ।
শ্রোতারা রেগে গেল। পারলে তাকে মারতে যায়। তিনি তাড়াতাড়ি তাদের সামাল দিতে বললেন, ‌না-না। আমি দেখতে পাচ্ছি আপনাদের অর্ধেকই বুদ্ধিমান।

Share this post
Repost0
March 24 2011 4 24 /03 /March /2011 16:22

...আফা!সকাল সকাল সপরিবারে কোথায় যাচ্ছেন?
...
গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি।আজ এক সপ্তাহ হয় গোসল করি নি।গ্রামের বাড়ি গিয়ে পুকুরে গোসল করে আসার সময় ২ কলস নিয়ে আসব।এছাড়া আর কোন উপায় দেখি না বোন।

...
ওগো! শুনছ? আমাদের পাশের বাসার আফা তারা সবাই গ্রামের বাড়ি চলে যাচ্ছেন গোসল করার জন্য।চল আমরাও গ্রামের বাড়ি চলে যাই।সারা দিন থেকে বিকালে চলে আসব।
...
কিন্তু যাইব কি করে?এই গরমের লাইনের গাড়িতে যাওয়া সম্ভব না।ফুয়েল স্টেশন বিদ্যুত না থাকার কারণে বন্ধ।তাই সিএনজি চলছে না।তাছাড়া তুমি কি ভুলে গেছ গত মাসেই তো আমাদের বাড়ির পুকুরটা ভরে তিন তলা মার্কেট করা হচ্ছে।টিবয়েল আছে তাও ডিপ।বিদ্যুত ছাড়া চলবে না।
১।বীমাঃ
-
মা আমি পুকুরে সাতার কাটতে গেলাম।
-
তুমি এখনও ভাল করে সাতার শেখনি। একা যেও না।
-
বাবা যে গেল। বাবা আমার চেয়ে কম সাতার জানে।
-
তার জীবন বীমা করা আছে।
২।জন্ম নিয়েছিঃ
১ম বন্ধু : জানিস, এক সময় আমি কিছু খেতে পারতাম না, হাঁটতেও পারতাম না।
২য় বন্ধু : কি অসুখ হয়েছিল?
১ম বন্ধু : কোনো অসুখ হয় নি। আমি তখন সবে মাত্র জন্ম নিয়েছি।
৩।টাকা গেল কোথায়ঃ
-
জানেন সারা পৃথিবীর কি অবস্থা। সব ব্যাংক হাজার হাজার কোটি ডলার লস দিয়েছে। ব্যাংকে টাকা নেই, বড় বড় কারখানায় টাকা নেই, মানুষের হাতে টাকা নেই।
-
সেই টাকা গেল কোথায় ? 
৪।প্রিন্ট কমান্ডঃ
এক বড় ক্লায়েন্ট লেজার প্রিন্টার কিনেছেন। সেখান থেকে একজন ভদ্রমহিলা ফোন করলেন, লেজার প্রিন্টার কাজ করছে না।
গিয়া দেখলাম তিনি ওয়ার্ড পারফেক্টে কাজ করছেন। ডকুমেন্ট ওপেন করা। আমি প্রিন্টার অন করে দেখলাম। ট্রে ভর্তি কাগজ দেয়া আছে। মনেহল সবকিছু ঠিকই আছে।
তাকে বললাম, আপনি প্রিন্ট কমান্ড দিন। আমি দেখি কি সমস্যা হয়।
তিনি বললেন, প্রিন্ট কমান্ড কিভাবে দেয় ?
৫।
একজন কিশোর রাস্তার পাশে দাড়িয়ে একটা খালি রিক্সা থামাল, এই রিক্সা। যাবে ?
রিক্সাচালক থেমে বলল, যাব।
সে বলল, যাও।
রিক্সাচালক বোকা বনে গেল। তারপর কিছু না বলে চলে গেল।
কদিন পর ছেলেটির রিক্সা প্রয়োজন। একটা খালি রিক্সা দেখে তাকে থামাল, এই যে রিক্সা। যাবে ?
এটা সেই রিক্সাঅলা। সে তাকে চিনেই বলল, যাইতাছি।
বলে না থেমে তার চোখের সামনে দিয়ে বেল বাজাতে বাজাতে চলে গেল।
৬।
-
আমি পকেটমার, ছিনতাইকারী, চোর কারো তোয়াক্কা করি না। সবসময় বুকপকেটে টাকা নিয়ে ঘুরি।
-
কোথায় ? আমি তো দেখছি পকেট খালি।
-
সার্টের বুকপকেট না, আন্ডারঅয়্যারের।
৭।
ডাক্তার আপনার সমস্যা কি ?
রোগি আমি শুধু দিন আনি আর দিন খাই।
ডাক্তার আমাদের মত গরীব দেশে অধিকাংশ মানুষই সেটাই করে। দৈনিক আয়ে চলে।
রোগি আমি সেকথা বলছি না। আমি ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে দিন ছিড়ে আনি আর সেটা খেয়ে ফেলি।
৮।
রোগি ডাক্তারসাহেব, সবাই আমাকে ভাবে আমি ঘোর মিথ্যাবাদি।
মনোরাগ চিকিৎসক আমি আপনার কথা মোটেই অবিশ্বাস করছি না।

 

শিক্ষকঃ তুমি বড় হয়ে কি করবে?
ছাত্রঃ বিয়ে করব।
শিক্ষকঃ না,মানে তুমি বড় হয়ে কি হবে?
ছাত্রঃ বাবা হব।

জাপানিঃ
অন্য কেউ পারলে আমিও পারব।
অন্য কেউ না পারলে আমাকে পারতেই হবে।

বাঙ্গালীঃ
অন্য কেউ পারলে সে করুক।
অন্য কেউ না পারলে আমি কেন সময় নষ্ট করব।

Share this post
Repost0
March 24 2011 4 24 /03 /March /2011 16:19

অফিস ছুটির মুহুর্তে বাড়ি থেকে ফোন পেলেন ভদ্রলোক,
কখন আছস?
বাড়িতে কারেন্ট আছে ?
না
পানি আছে ?
না
তাহলে গিয়ে কি করব। দুঘন্টা পর আসি
Metal, Rap, Hiphop
তুই সারাদিন এসব কি বলিশ একটা কথাও বুঝি না
তুমি বুঝবে না। এসব ইংরেজি গান। আজকাল সারা পৃথিবীর মানুষ এই গান শোনেএই গান গায়। মেটালর‌্যাপহিপহপআরএনবি-
বুঝলাম। সারাদিন ইংরেজি গান করিশতারপর ইংরেজিতে ফেল করলি কেন ?
আমি কি করব স্যাররা কি ইংরেজি গান শোনে ! না ইংরেজি বোঝে ! 
সরিঃ
সরি
ধাক্কাডা তো ঠিকই দিলেন অহন না সইরা করবেন কি। অহনও গাও ঝনঝন করতাছে। যান সরেন
মেডিকেল কলেজঃ
আরে কেমন আছেন ক্লান্ত দেখাচ্ছে একেবারেকোথা থেকে ফিরলেন
ছেলেটাকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে দিলাম
বলেন কি আমি তো ভেবেছিলাম ওই আড্ডাবাজ বাউন্ডুলে কোথাও ভর্তির সুযোগই পাবে না,একেবারে মেডিকেল কলেজে!
ভর্তি না করে কি করব বলুন। হাত পা দুইই ভেঙেছে 
নিজের কথা ঃ
কিরে তুই দুই হাতে দুই মোবাইল নিয়ে কার সাথে কথা বলছিস ?
নিজের সাথে। নিজের কথা মোবাইলে কেমন শোনা যায় তাই দেখছি
ভাল চাকরীঃ
আচ্ছা বলুন তো ভাল চাকরী মানে কি ?
যে চাকরীতে বেতন বেশিউপড়ি আয় আরো বেশিকাম করতে হয় নামামা কিংবা দুলাভাই বসসেক্রেটারী সুন্দরীফ্রি টেলিফোনফ্রি ইন্টারনেটফ্রি খাওয়াদাওয়া আরকিজানি। মনে পড়তাছে না 
মোবাইলঃ
দোস্ত এই মোবাইল ফোনডা কিনছি। এক্কেরে অরিজিন্যাল হাঙ্গেরি। মাইকের মত গান শোনা যায়। রেডিওক্যামেরাভিডিও সব রইছে। ভিসিডি দেখা যায়। লোডসেডিং এর জন্য লাইটওপাচচল্লিশ হাজার দাম
দেতো মোবাইলটা। একটা ফোন করি
আহহারে রে। নেটওয়ার্কে একটু সমস্যা। কথা পরিস্কার হয় না। আর সব ঠিক আছে
কিসের মাংশঃ
কোরিয়ায় হোটেলে মাংশ খেয়ে একজনের খুব ভাল লাগল কিন্তু সে বুঝল না সেটা কিসের মাংশএদিকে সেখানকার ভাষাও তার জানা নেই। আর কোন উপায় না দেখে একজন বেয়ারাকে ডেকে সে ছাগলের মত অভিনয় করে জিজ্ঞেস করতে চেষ্টা করলব্যা-ব্যা
বেয়ারা বুঝলে পারল তার প্রশ্ন। সে উত্তর দিলভৌভৌ 
কাঁদতে নেইঃ
বাবা  কি রে খোকাকাদছিস কেন ?
ছেলে  মা মেরেছে
বাবা  ধুর বোকা। এভাবে কাদতে নেই। মার খেলে কি কাদতে হয় আমাকে কখনো কাদতে দেখেছিস ?
১০। আছেন:
আছেনঃ
একজন নাস্তিক কিছুতেই সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব বিশ্বাস করতে রাজি না। রীতিমত বাজি ধরে ফেলল সেআমি সারা পৃথিবী ঘুরে দেখব সৃষ্টিকর্তা থাকারতার সবকিছু নিয়ন্ত্রন করার কোন নমুনা চোখে পড়ে কিনা
সে ঘুরতে শুরু করল। লন্ডননিউইয়র্কটোকিওব্যাংকক সব যায়গায় ঘুরল। একসময় ঢাকায় এসে হাজির হল। অন্য যায়গায় সে থেকেছে ১ দিন করেঢাকায় সে দিনের পর দিন কাটাতে থাকল। তার দেখা যেন শেষ হয় না। তারপর একসময় সোজা হাজির হল যার সাথে বাজি ধরেছিল তারকাছে
পরাজয় স্বীকার করে বললঠিকই সৃষ্টিকর্তা আছেন। সব যায়গায় দেখেছি মানুষ সবকিছু নিয়ন্ত্রন করেঢাকায় দেখলাম কেউ কিছু নিয়ন্ত্রন করে না। রাস্তায় গাড়ি-রিক্সা কেউ নিয়ন্ত্রন করে না,পথে ছিনতাইকারীকে কেউ নিয়ন্ত্রন করে নাঅফিসে ঘুষখোরকে কেউ নিয়ন্ত্রন করে নাব্যবসার নামে বাটপারীকে কেউ নিয়ন্ত্রন করে নাখাবারে ভেজাল দেয়া কেউ নিয়ন্ত্রন করে না। সৃষ্টিকর্তা আছেন এবং নিজেই সবকিছু নিয়ন্ত্রন করেন বলে দেশটা টিকে আছে


Share this post
Repost0
March 24 2011 4 24 /03 /March /2011 16:09
কয়েকটা ফালতু জুক্সঃ
1.
এক জাপানি ভদ্রলোক এসেছেন বাংলাদেশ ভ্রমনে। এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে সামনে অপেক্ষারত একটা ট্যাক্সিতে চড়ে বসলেন হোটেলে যাওয়ার জন্য। 

একটু পরে একটা মোটরবাইক পাশ কাটাতেই জাপানিটা সোল্লাসে বলে উঠল, হোন্ডা, মেড ইন জাপান, ভেরী ফাস্ট!! ড্রাইভার কিছু বলল না।

একটু পরে ওভারটেক করল একটা কার, আবার জাপানির চিৎকার, টয়োটা, হাহা, মেড ইন জাপান, ভেরী ফাস্ট!! ট্যাক্সি ড্রাইভার চুপচাপ শুনল, কিছু বলল না।

এরপর একটার পর একটা গাড়ি পেছন থেকে উঠে যাচ্ছে আর জাপানি লোকটার উৎসাহ বেড়ে যাচ্ছে, কখনও মিৎসুবিশি, কখনও হোন্ডা, কখনও টয়োটা বলে লাফাচ্ছে আর মনের আনন্দে গুনকীর্তন করছে, মেড ইন জাপান, ভেরী ফাস্ট!! ভেরী ফাস্ট!!

অবশেষে, হোটেলে পৌছল তারা। ক্যাব থেকে নেমে ভাড়া দিতে গিয়ে টাসকি, এইট হান্ড্রেড টাকা? হাউ কাম?

এতক্ষণ চুপ থাকার পর কথা বলার চান্স পেয়েছে ট্যাক্সি ড্রাইভার, হাহা, ইয়ে মিটার, মেড ইন বাংলাদেশ, ভেরী ফাস্ট! ভেরী ফাস্ট!! 

2
বাজার করে আসার পথে ববের গাড়ি খারাপ হয়ে গেলো। সে গাড়ি থেকে নেমে এল। তার ফার্মটা কাছেই। হেটে যেতে মিনিট দশেক লাগবে। সে আপাতত গাড়িটা ফেলে রেখে চলেই যেতে পারত। পরে মেকানিক নিয়ে এসে ঠিক করা যেত গাড়িটা। কিন্তু সমস্যা হল সাথে কিছু বাজার আছে। একটা বড় হাস, দুইটা মুরগি, একটা বালতি আর চার লিটার রঙের ডিব্বা।
এতগুলা জিনিস কিভাবে নেয়া যায় সে বুঝে উঠতে পারছে না।

রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে সে এটা নিয়ে ভাবছে, এমন সময় খুব সুন্দর এবং বছর চব্বিশের এক মেয়ে তাকে জিজ্ঞেস করল,
-আচ্ছা, ৭৭ নম্বর ফার্মটা কোনদিকে?
-৭৭? আমার বাসার পাশেই। হেটে যেতে বড়জোর দশমিনিট লাগবে। আমিই আপনাকে সাথে নিয়ে যেতাম কিন্তু একটা হাস, দুইটা মুরগি,বালতি আর রঙের কৌটা নিয়ে হাটতে পারছি না।
-এককাজ করেন। রঙের কৌটাটা নেন বালতির ভিতর। মুরগি দুইটা নেন দুই বগলে আর হাসটা নেন আরেক হাতে।

বব তাই করল। চমৎকার কাজ করছে। পথে কথাবার্তায় মেয়ের নাম জানা হল লিসা। সে যাচ্ছে কাজিন জনের বাসায়।


পথের এক জায়গায় বব বলল, এই ওয়ালটার পাশ দিয়ে একটা শর্টকাট -আছে। এখান দিয়ে গেলে তাড়াতাড়ি হবে।
লিসা বলল, কিন্তু খুব নির্জন মনে হচ্ছে পথ।
-তাতে কি?
-আপনি একজন যুবক। আমি একজন তরুনী। ধরেন, আপনি যদি নির্জনে আমার সাথে u know what শুরু করতে চান?
-হা হা হা! আমার একহাতে বালতি, যেটার ভিতর রঙের কৌটা, আরেক হাতে হাস। দুই বগলে দুইটা মুরগি। আমি কিভাবে আপনার সাথে জোর করে কিছু করতে পারি?
-ধরেন, আপনি বালতি থেকে রঙের কৌটাটা বের করে সেটা উল্টিয়ে হাসটা রাখলেন। হাসটা যেন না পালাতে পারে সেজন্য রঙের কৌটাটা বালতির ওপর রাখলেন। তাহলেই হল।
-ভুল করছেন। দুইটা মুরগি আছে যে, সেগুলার কি করব শুনি?
একটু হেসে লিসা বলল, মুরগি দুইটা না হয় আমিই ধরে রাখলাম। 

3.
বিমর্ষ এক ভদ্রলোক একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসলেন; এক গ্লাস লাচ্ছি দিতে বললেন ওয়েটারকে। অন্য দিনের চেয়ে তাড়াতাড়িই চলে এল লাচ্ছির গ্লাস। খাবার আগে ভাবলেন, রেস্টুরেন্টের জানালা দিয়ে একবার বাইরের দুনিয়াটাকে দেখবেন। টেবিলে ফিরে এসে দেখলেন তাঁর লাচ্ছির গ্লাস অন্য একজনের হাতে। তিনি বেশ আয়েশ করে তাঁর সেই গ্লাস থেকে লাচ্ছি খাচ্ছেন। এই দৃশ্য দেখে তিনি চেয়ারে বসে কাঁদতে শুরু করলেন। সামনের লোকটি বিব্রত হয়ে বললেন, �প্লিজ, কাঁদবেন না, এক গ্লাস লাচ্ছিই তো; আমি আপনাকে দুই গ্লাস লাচ্ছি কিনে দিচ্ছি।� শুনে তিনি বললেন, �আমি সে জন্য কাঁদছি না।� তাহলে? জানতে চাইলেন ওই লোকটি। তিনি বলতে শুরু করলেন, �ঘুম থেকে উঠেই বউয়ের সঙ্গে বিরাট ঝগড়া হলো; বাসে মানিব্যাগ ছিনতাই হলো; অফিসে গিয়ে শুনলাম চাকরি চলে গেছে; বাসায় ফিরে দেখি বউ বাপের বাড়ি চলে গেছে��� এত কিছুর পর ত্যক্তবিরক্ত হয়ে রেস্টুরেন্টে এসে বিষ খাব বলে লাচ্ছির সঙ্গে বিষ মিশিয়েছি���সেটাও আপনি খেয়ে ফেললেন! আমার তো কপালটাই খারাপ!!�
Share this post
Repost0

রঙ্গীলার রঙের দুনিয়া

  • : রঙ্গীলার রঙের দুনিয়া
  • : Bangla blog,Bangla Kobita & Golpo.Funny Pictures & Jokes.
  • Contact

Chat Box-চ্যাট বক্স

Search-অনুসন্ধান

Archives-আর্কাইভ

Page-পাতা

Category-ক্যাটাগরি