Overblog
Follow this blog Administration + Create my blog
March 24 2011 4 24 /03 /March /2011 16:53

গাধাঃ আবে ঐ ছাগী!তুই ছাগল সারা জীবন ছাগলই থাকবি মানুষ হবি না কোনদিন।
ছাগলঃ ওই বেডা গেধু!গরুর মতো কথা বলছিস কেন?
গরুঃ কেডারে? কোন হালার পুত আমার নাম ধরে গালাগালি করে?ঘুষি মাইরা এক্কারে নাক ফাডাই লামু কইতাছি।
ছাগলঃআবে ওই বেআক্কেলের ভাতিজা।ফাডার মতো কথা কস কিল্লাই?তোর কি হাত আছে যে আমারে ঘুষি মারবে?।তোর তো বউ-ই নাই।আমি তোর হালার পুত কিমনে হইলাম?ভাগ নাই বেটার বড় কথা।
ফাডাঃ কিডা?কিডা আমার নাম লইছে?গুঁতা মারি ভোঁতা কইরা ফালামু কইতাছি।ভাগের ছাগী হইলে সামনে আয়।
শিয়ালঃ কি রে ছাগু! কি নিয়ে তোমর ঝগড়া করতাছ?
ছাগলঃ দেখেন পণ্ডিত মশাই।আপনি আমারে আর যাই কন,কিন্তু ছাগু কইবে না।আমার Injection আছে।
শিয়ালঃ আবে ছাগু! Injection না Objection বল। ছাগু কইলে নাকে হাগুর গন্ধ লাগে নাকি??
ছাগলঃআপনি পণ্ডিত হয়েও জানেন না ছাগু কারে কয়? হায় রে আমার বাঙালির কপাল।
শিয়ালঃআবে ঐ! তুই বাঙ্গালী নেতা গো মতো এত ঘুরাই পেঁচাই কথা কস কিল্লাই।সোজা কইতে পারিস না রঙ্গীলা ভাইয়ের নামের মতো?
ছাগলঃ তাইলে হুনেন মশাই।বাঙ্গালীরা ঐ নাপাক হারামীদের ছাগু বইলা ডাকে।আমার বড়ই কষ্ট হয়।আমার মুখে একটু আকটু দাড়ি আছে বইলা কি আমি ওদের মতো গাদ্দার,নিমক হারাম হইয়া গেলাম? আমি তো আমার মালিককে ঘাসের বদলে বাঁশ দেই না।দুধ দেই।তাইলে ওরা আমারে ছাগু কয় কিল্লাই আপনিই কন দেহী?আমি ছাগল হলেও আমারও তো একটা প্রেস্টিজ আছে না!!এতে আমার প্রেস্টিজ পাঙ্কচার হয় না?
শিয়ালঃআবে লেদাই।হূন!ওদের মাথায় যদি আমাদের মতো বুদ্ধি থাকতো তাইলে কি আর এমন করত?পৃথিবীর সব চাইতে বোকা জাতি হইল গিয়া বর্তমান বাঙ্গালী জাতি।ওরা বোকা না হইলে কি আর বুদ্ধি পেটে রাখে।আর ওদের বুদ্ধি পেটে বইলাইতো ওরা একে অন্যকে আমাদের বাচ্ছা বলে।
ছাগলঃ তা কিরকম মশাই একটু খুইলা কন?
শিয়াল আবে হালার তুই কি বধির?তুই কি হুনিস না ওরা যখন একে ওপরকে 
বাঘের বাচ্ছা,কুত্তার বাচ্ছা,শুওরের বাচ্ছা,শিয়ালের বাচ্ছা,ছাগলের বাচ্ছা,গাধার বাচ্ছা,হাতির বাচ্ছা ইত্যাদি বইলা ডাকে।।
ছাগলঃহো,বুঝবার পারছি এখন।আচ্ছা মশাই আপনার তো পেটে,থুক্ষু,মাথায় মেলা বুদ্ধি।এই ব্যাপারে কি আমরা কিচ্ছু করতে পারি না?এই যে ওরা আমাদের নাম Disuse কইরা বদনাম করছে……
শিয়ালঃউহম!কত করে কইছি ভাঙ্গা বাসমতি চাউল টাইপের ইংরেজী কইবি না।Misuse কে Disuse বলছিস।হুন লেদাই। এই ব্যাপারে কোন কিছু করার আগে আমাদের মাঝে পশুমত গড়ে তুলতে হবে আগে।তারপর…
কাকঃআমার Obsession আছে!!
শিয়ালঃকেডা?কেডা উপর থাইকা কথা কয়?তাও ভুল ইংরেজী!!Objection কে Obsession!
কাকঃআমি কইছি মশাই।
শিয়ালঃহো,তুই!তোর আবার কিসের সমস্যা?আর তরে না কত দিন কইছি কাউয়া আছিস কাউয়াই থাক।ময়ূর সাজার চেষ্টা করবি না।একবার ময়ুরের হাঁটা দিতে গিয়ে নিজের হাঁটাই ভুলা এখন ব্যাঙের মতো লাফাই লাফাই চলিস।বুড়ো হয়ে গেছিস কিন্তু খাছলতটা বদলাতি পারলি না।
কাকঃচুরি,চুরি,ভুলে Miscake হয়ে গেছে।আর ইংরেজী কমু না মশাই।
শিয়ালঃআবারো কইলে!!যাজ্ঞে সমস্যা কি তাড়াতাড়ি বল।
কাকঃবলিং মশাই বলিং।
শিয়ালঃআবে ঐ ফকিরনির পোলা।বলবি না বইলাও তো বলছিস!!আর এই বলিং বলিং করছিস কেন?এইডা কি ক্রিকেটের ময়দান?
কাঁকঃ বলিং মানে Shirtcut “বলতেছি”।আচ্ছা বাদ দেন।আমি যেডা কইবার চাইছিলাম।ওরা আমার নামটাকে বদনাম করতাছে।ওদের কারো ঘরে কালা বাচ্ছা হইলেই কয় কাউয়ার বাচ্ছা।আমার বাচ্ছারা খারাপ কাজ করলে আমি কি কখনো বলেছি মানুষের বাচ্ছা!!তাই মুই কইছিলাম পশুমতের সাথে পক্ষীমত ও জোরদার করার দরকার।
শিয়ালঃঠিক আছে,ঠিক আছে।এই নিয়া আরেক দিন বসুম নে।আজ আমার হাতে মেলা কাম।যাইগা এহন।আবে গরু,ছাগল,গাধা,ফাডা তোমরা আর এইসব নিয়া বাঙ্গালিদের মতো নিজেদের মাঝে জগড়া করনা।পশু আছ পশুর মতো মিলেমিশে থাক।মানুষের মতো ঝগড়াঝাঁটি আমাদের শোভা পায় না।

Share this post
Repost0
January 29 2011 6 29 /01 /January /2011 18:16



ভাষারঙ্গ
নোয়াখালীর ভাষায় একটা বাক্য
হানিতে হুল আছে, হুল দেইখ্যা হোলা হানে হানিতে হড়ি গেছে।
বুঝলেন কিছু? মনে হয় না। ওনারা ‘প’ ও ‘ফ’কে ‘হ’ বলে
হানিতে—পানিতে, হুল—ফুল, দেইখ্যা—দেখে, হোলা হানে—পোলাপান বা ছেলেপুলে, হানিতে—পানিতে, হড়ি—পড়ে। তাহলে ঘটনা দাঁড়াল—
পানিতে ফুল আছে, ফুল দেখে ছেলেপুলে পানিতে পড়ে গেছে।
শিক্ষক ও ছাত্রী
প্রথম দিন পড়াতে গিয়ে স্বভাবতই জিজ্ঞেস করলাম, ‘তোমার নাম কী?’ লাজুক হেসে মেয়েটি বলল, ‘জি, মিচ্চোনিয়া!’
ঠিক বুঝলাম না। ফের জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী নাম বললে?’
‘মিচ চোনিয়া চার। চো-নি-য়া। চাবরিনা চিদ্দিকা চোনিয়া।’
‘ও সোনিয়া! তা সোনিয়া, তোমার দেশের বাড়ি কোথায়?’
উত্তর শুনে ঘটনা পরিষ্কার হলো। পড়াতে শুরু করলাম সোনিয়াকে।
আমি যখন খাতা দেখতাম, সে সময় সে গল্প জুড়ে দিত।
একদিন এমন মনোযোগ দিয়ে বাড়ির কাজ দেখাচ্ছি, সে গল্প শুরু করল, ‘চার, আপনি ভেন্ডের গান লাইক করেন?’
‘ভেন্ডের আবার কী? বলো ব্যান্ডের। হ্যাঁ, করি তো।’
‘চার, কোন ভেন্ড আপনার পেবারিট?’
‘নির্দিষ্ট কেউ না। সব ব্যান্ডেরই কিছু কিছু গান ভালো লাগে।’
‘চার, আমার পেবারিট চার, চোলচ। চোলচের পরেস্ট হিলে গানটা চুপার লাগে, চার, প্যানটাচটিক লাগে।’
আরেক দিনের কথা। খাতা দেখছি, কিছুটা উশখুশ করে ছাত্রী বলল, ‘চার, আপনার কোনো অ্যাপেয়ার আচে, চার?’
ওর দিকে শীতল দৃষ্টিতে এক মুহূর্ত তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিলাম খাতায়।
সে নাছোড়বান্দা, ‘বলেন না, চার, আচে?’
ধমকের সুরে বললাম, ‘হ্যাঁ, আছে!’
‘হি.হি..হি…! তা বাবির নাম কী, চার?’
রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে কাটাকাটাভাবে বললাম, ‘মাধুরী দীক্ষিত।’
‘ই.হি..হি…! আপনি চার একদম চিরিয়াচ না, শুধু পান করেন। হি.হি..হি…। ওহ চার, বালা কতা, আপনাকে তো একটা কবর দিতে হবে।’
‘কী বললে? আমাকে কবর দিতে হবে? মানে কী?’
‘জি, চার, জরুরি কবর, আগামী ২০ তারিকে আমার ভোনের বিয়ে।’
‘ভোনের নয়, বলো বোনের।’
‘জি চার। চার, কাওয়াদাওয়া কিন্তু কোনো কমিন্টি চেন্টারে হবে না, চাদে হবে।’
‘কী? চাঁদে হবে?’
‘জি, চার, আমাদের চাদে। চার, আপনাকে খাট দেব?’
‘খাট! আমাকে খাট দেবে মানে?’
‘মানে চার, বিয়ের খাট।’
‘হোয়াট? বিয়ের খাট!’
‘জি, চার, দাওয়াত খাট।’
‘ও আচ্ছা! ইনভাইটেশন কার্ডের কথা বলছ তুমি?’
‘জি, চার। চার, জানেন, আমার দুলাভাই না দেখতে টিক ভোম্বের হিরুদের মতন।’
‘ভোম্বে নয়, বোম্বে। আর হিরু নয়, হিরো। তা, উনি দেখতে কোন হিরোর মতন?’
‘হিহিহি…। দেকতে? উনি দেকতে টিক ভোম্বের চালমান কান, চার।’
বগুড়ার ভাষা খুব দুর্বোধ্য নয়, তবে বিচ্ছিন্ন কিছু দুরধিগম্য শব্দসহযোগে রচিত এই বক্তব্যহীন ছড়া।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো.

যখন জায়গা হত না
৪০তম বিবাহবার্ষিকীতে এক মহিলার হঠাৎ মনে পড়ল বিয়ের প্রথম রাতে তার স্বামী তাকে বলেছিল সে যা খুশি করতে পারে কিন্তু শুধু যেন বিছানার নিচে রাখা কাঠের ছোট বাক্সটা না খোলে । এতদিন ধরে স্ত্রী কখনো সেটা ছুঁয়েও দেখে নি। কিন্তু ৪০ বছর এই ব্যাপারে সৎ থাকার কারণে তার কাছে মনে হল এখন নিশ্চয় সেটা খোলার অধিকার তার হয়ে আছে। ধীরে ধীরে ছোট বাক্সটি বের করে সে সেটা খুলে দেখল তার ভেতরে স্বামীর জমানো খুচরা টাকায় মোট তিন শ ডলার আর চারটা খালি বিয়ারের বোতল।
রাতে স্বামীর সঙ্গে বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ ডিনার শেষ করার পর সে তাকে জানাল বাক্স খোলার ব্যাপারটা।
‘সর্বনাশ! তুমি এটা কী করেছ?’ স্বামী কিছুটা উত্তেজিত।
‘আহা এটাতে রেগে যাবার কী আছে?’ কিন্তু চারটা খালি বোতলের অর্থ কী? স্ত্রী কৌতুহলী হয়ে প্রশ্ন করল।
… ‘ইয়ে.. মানে… আসলে বিয়ের পর আমি যতবার তোমার সাথে প্রতারণ করেছি…. মানে অন্য কোনো মেয়ের সাথ......…………ততবার আমি বাড়িতে এসে ওই বাক্সে একটা করে বোতল রাখতাম’। স্বামী-ভয়ে ভয়ে জানাল। চল্লিশ বছরে মাত্র চারবার এমনটি ঘটেছে ভেবে স্ত্রী তার স্বামীকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল- ‘থাক এ নিয়ে আর মন খারাপ কোরোনা…’।
রাতের চমৎকার ডিনার শেষে দুজনই ঘুমাতে গেল। হঠাৎ মধ্যরাতের দিকে একটা কথা ভেবে স্ত্রীর ঘুম ছুটে গেল। সে তখনই তার স্বামীকে ঘুম থেকে ডেকে জিজ্ঞেসা করল- আচ্ছা,ওই বাক্সের টাকাগুলো কিসের?
ঘুম ঘুম চোখে স্বামী কোনোমতে পাশ ফিরে জানাল- ও কিছু না যখন বাক্সের ভেতর আর বোতল জায়গা হত না তখন সব বোতল ফেলে এক ডলার করে রাখতাম।

Share this post
Repost0
January 29 2011 6 29 /01 /January /2011 18:12




স্বামীর ডিম

পিয়েরে সবে বিয়ে করেছে। নতুন বউ নিয়ে সে খুবই খুশি। কিন্তু তার বন্ধুটি ছিল অন্য ধাঁচের। বিয়েটিয়ে সে একেবারেই পছন্দ করত না। মেয়েরা অবিশ্বাসী—এ রকম একটা বাজে ধারণা ছিল তার।
বন্ধু একদিন পিয়েরেকে একা পেয়ে সেই কথাটা তুলল।
‘বিয়েটা যখন করেই ফেলেছ, তখন আর এ নিয়ে কিছু বলার নেই আমার। তবে ওই বিষ গেলার আগে একটু যদি জিজ্ঞেস করতে, কিছুতেই সায় দিতাম না, বুঝলে।’
‘তাই নাকি! তা বিয়ে সম্পর্কে বন্ধুর এই ক্ষোভের কারণ দয়া করে জানতে পারি?’ পিয়েরের গলায় কৌতুক ঝরে পড়ে।
‘আমার আপত্তি হলো মেয়েদের ওই কান-পাতলা স্বভাব নিয়ে। তোমার পেটে যদি সত্যি কোনো গোপন কথা থাকে, খবরদার ভুলেও বউকে বলবে না। বলেছ কি নির্ঘাত হাটে হাঁড়ি ভেঙে তোমার বারোটা বাজিয়ে দেবে।’
পিয়েরে বন্ধুর কথায় হো হো করে হেসে উঠল—‘খাসা বলেছ তো কথাটা। কিন্তু শোনো, অন্যের কথা জানি না। আমার বউয়ের কান থেকে যে কথা সরে না তা আমি হলফ করে বলতে পারি।’
আসলে বন্ধুর ওই সন্দেহজনক কথাটা খুব লেগেছিল পিয়েরের মনে। মেয়ে মানেই যে সব পেট-আলগা, বন্ধুর এই ধারণা ভেঙে দেওয়ার জন্য সে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।
রাতে পিয়েরে ঘুমাতে গেল বউকে নিয়ে। সে অপেক্ষা করতে লাগল কখন বউ ঘুমায়। একটু পরই নাক ডাকার আওয়াজ পাওয়া গেল। পিয়েরে চুপিচুপি খাট থেকে নেমে একটা ডিম নিয়ে এল রান্নাঘর থেকে। ডিমটা কোলের কাছে রেখে আবার সে যথাস্থানে শুয়ে পড়ল।
একটু পরই পিয়েরে তড়িঘড়ি ধাক্কা দিল বউকে—
‘এই শুনেছ, একটা আজব কাণ্ড ঘটেছে এই মাত্তর। তুমি হয়তো বিশ্বাস করবে না। কিন্তু মাইরি বলছি, সত্যি সত্যি আমি একটা ডিম পেড়েছি।’
‘ডিম পেড়েছ! যাও গুল দিচ্ছ।’
পিয়েরে ঘটনা প্রমাণের জন্য ডিমটা বের করে তাকে দেখাল।
‘সত্যি বলছ তো? কী অবাক কাণ্ড না?’ বউ সবিস্ময়ে মাথা নাড়ে।
‘তা তো বটেই। কিন্তু খোদার কসম এটা কিন্তু কাউকে বলবে না। প্রতিবেশীরা জানতে পারলে খুব হাসাহাসির ব্যাপার হয়ে যাবে। ওরা ভাববে আমি হয়তো মানুষ না, মুরগি।’
বউ স্বামীর মাথায় হাত দিয়ে কিরে কাটল। না, এ জন্মে কাউকেই সে বলবে না এ কথা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে সে খুব অস্থির হয়ে পড়ছিল। তার চোখ কিছুতেই এক হচ্ছিল না উত্তেজনায়। কখন সকাল হলে গোপন কথাটা বান্ধবীর কানে দেবে এই ভাবনায় সে মশগুল হয়ে গেল।
সকালের আলো ফুটতে না ফুটতেই সে ভোঁ দৌড়ে এল বান্ধবীর কাছে।
‘এই শোন, শোন, ভীষণ একটা গোপন কথা তোকে বলছি। খবরদার! কাউকে বলিসনে যেন। জানিস, গত রাতে না আমার স্বামী একটা ডিম পেড়েছে।’
বান্ধবী চোখ কপালে তুলে বলল, ‘বলিস কী! তোর স্বামী ডিম পেড়েছে? চালাকির আর জায়গা পাসনে।’
বান্ধবীর সন্দেহ ভাঙানোর জন্য সে ডিমটা দেখিয়ে বলল, ‘এবার বিশ্বাস হলো তো? কিন্তু দোহাই তোর, এ কথা ঘুণাক্ষরেও কাউকে বলিসনে। তাহলে ও খুব রেগে যাবে আমার ওপর। কী, কথা দিচ্ছিস তো?’
‘মাথা খারাপ। আমি কিচ্ছু বলব না।’ মুখে এ রকম আশ্বাস দিলেও কথাটা অন্য এক বান্ধবীকে বলার জন্য তার পেট ফেঁপে উঠছিল।
‘এই শুনেছিস, আমার বান্ধবীর স্বামী পিয়েরে গত রাতে দুটি ডিম পেড়েছে। কী, বিশ্বাস হচ্ছে না?’ বান্ধবীর কানে কথাটা উগরে দিয়েই তার শান্তি।
‘অসম্ভব’। অবিশ্বাসে মাথা নাড়ল বান্ধবী।
‘সত্যি, বিশ্বাস কর, একটুও মিথ্যা বলছি না। পিয়েরের বউ আমাকে ডিম পর্যন্ত দেখিয়েছে। কিন্তু এ কথা কাউকে বলিসনে, ভাই। ও শুনতে পেলে খুব মাইন্ড করবে।’
‘না, না, প্রমিজ করছি, কাউকে বলব না।’ কিন্তু বলতে শুধু দেরি, সে দ্রুত অন্য এক বান্ধবীর কানে তুলে দিল কথাটা। সে বলল আরেকজনকে। এভাবে নানা কান ঘুরে ডিমের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে গেল। শেষ পর্যন্ত শহরময় চাউর হয়ে গেল পিয়েরের ‘ডিম-প্রসবের’ কাহিনি।
তাকে নিয়ে চারদিকে এত যে আলোচনার ঝড় বইছে তার কিছুই জানত না পিয়েরে। এমনকি বিকেলে যখন বিয়েবিরুদ্ধ বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলো তখনো সে আশ্বস্ত ছিল স্ত্রী ডিমের ব্যাপারটা পুরোপুরি গোপন রেখেছে ভেবে।
পিয়েরে গলায় একটু গর্বের টান মিশিয়ে বন্ধুকে বলল, ‘এই যে নারীবিদ্বেষী, গত রাতে আমি একটা গোপন কথা স্ত্রীকে বলেছি। বল তো সেই কথাটা কী? না পারলে অবশ্য আমিই বলে দেব।’
বন্ধু মুচকি হেসে বলল, ‘দোস্ত, তুমি তোমার বউকে কী বলেছ না বলেছ তা আমি জানি না। কিন্তু একটু আগে শুনলাম, তুমি নাকি পাঁচ ডজন ডিম পেড়েছ, তা কি ঠিক?’

লা ফঁতেঁ: ফরাসি লেখক।
অনুবাদ: জাফর তালুকদার
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জানুয়ারী ০৩, ২০১

Share this post
Repost0
January 29 2011 6 29 /01 /January /2011 18:11

বউয়ের যত্ন নিন, নিলে কতটুকু নিচ্ছেন জানুন

এই লেখাটি যাদের বউ আছে তাদের জন্য। গোটা জগত্-সংসারে স্বামীদের সুখে থাকার জন্য একটাই নিয়ম—বউকে খুশি রাখুন। এমন কিছু করুন যাতে সে খুশি থাকে। আপনি তাকে কতটা খুশি রাখতে পেরেছেন জানতে নম্বর সংগ্রহ করুন। তার অপছন্দের কিছু করেছেন তো মাইনাস। আবার তার জন্য কিছু করেছেন, কিন্তু সেখানেও কোনো নম্বর পাবেন না, কারণ এটা নাকি আপনার করারই কথা ছিল। হতভাগা স্বামীদের কিছুই করার নেই, জগতের নিয়মটাই এমন নিষ্ঠুর। কীভাবে নম্বর পাবেন আর কীভাবে নম্বর হারাবেন, নিচে তা বিশদভাবে দেওয়া হলো। ওয়েবসাইট অবলম্বনে এই গবেষণাকর্মটির গবেষক তাওহিদ মিলটন।

 আপনি বিছানা তৈরি করেন এবং মশারি খাটান। (+১)
 বিছানা তৈরি করেছেন কিন্তু মশারি খাটাতে ভুলে যান। (০)
 তার জরুরি দরকার এমন কিছু কিনতে বাইরে যান। (+৫)
 যদি সেটা বৃষ্টির দিনে হয়। (+৮)
 ভুলে সেটা না কিনে যদি পেপার কিনে বাসায় ফেরেন। (-৫)
 রাতে আপনি যদি কোনো রহস্যজনক শব্দ পান এবং সেটা যদি কিছুই না হয়। (০)
 যদি একটা লম্বা লাঠি নিয়ে খুঁজতে বের হন। (+৮)
 কিন্তু শব্দটা যদি তার পোষা বিড়ালের কারণে হয়। (-১০)

 আপনি কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে পুরো সময় তার পাশে থাকেন। (০)
 তার পাশে কয়েক মিনিট থাকার পরই যদি উসখুস করতে থাকেন এবং পরে আপনার কোনো বন্ধুর সঙ্গে গল্প করে কাটান। (-২)
 সেখানে যদি বন্ধুর স্ত্রী থাকে। (-৫)
 স্ত্রীটি যদি সুন্দরী হয়। (-১০)

 তার জন্মদিনে সময়মতো উইশ করতে পেরেছেন কিন্তু খালি হাতে। (-২)
 জন্মদিনে একটা জিনিস উপহার দিয়েছেন কিন্তু তার অপছন্দের। (-১)
 জন্মদিনে যে জিনিসটা উপহার দিয়েছেন সেটা তার খুব পছন্দের। (+৫)
 কিন্তু আপনার খুব অপছন্দের। (+১০)
 তার পছন্দের জিনিসই উপহার দিয়েছেন কিন্তু সেটা সাংসারিক কাজে লাগবে। (-৫)

 বন্ধের দিন তাকে নিয়ে ঘুরতে গেছেন, সিনেমা দেখেছেন। (+১)
 ঘুরতে যাননি। (-৭)
 নিজে একা একা ঘুরে এসেছেন। (-১০)
 যে সিনেমাটি দেখেছেন সেটা তার পছন্দের ছিল। (+৪)
 যে সিনেমাটি দেখেছেন সেটা আপনার অপছন্দের ছিল। (+৮)
 সিনেমাটি আপনার পছন্দের ছিল। (-২)

 আপনি তাকে সাজার পর সুন্দর লাগছে বলেছেন। (+৫)
 বলেননি। (-৮)
 সে মোটা হয়ে যাচ্ছে বলেছেন। (-১০)
 আমাকে কি মোটা লাগছে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে উসখুস করেছেন। (-৫)
 আপনি নিজের ভুঁড়ি কমানো নিয়ে কথা বললেন। (+৭)
 আপনি তাকে ব্যায়াম করতে বললেন। (-১০)

 আপনি তাকে সারপ্রাইজ দিলেন। (+২)
 সে আপনাকে সারপ্রাইজ দিল কিন্তু আপনি স্বাভাবিক ছিলেন। (-৯)
 তার প্রিয় খাবার যদি আপনি পছন্দ করেন। (+১)
 যদি অপছন্দ করেন। (-৪)
 আপনি যদি তাকে নিয়ে ভাবেন। (+১)
 আপনি যদি তাকে নিয়ে কিছু না ভাবেন। (-৬)
 আপনি যদি অন্য কিছু নিয়ে ভাবেন। (-৯)

 শ্বশুর-শাশুড়িকে পছন্দ করেন। (০)
 যদি অপছন্দ করেন। (-৬)
 সেই সঙ্গে যদি নিজের বাবা-মা ছাড়া কিছু না বোঝেন। (-১০)

 অফিস থেকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় ফোন দেন। (০)
 ফোন দেন না। (-৫)
 অফিসে যদি মেয়ে কলিগ থাকে। (-৭)
 সে কলিগ যদি সুন্দরী হয় এবং তার কথা যদি বাসায় বলেন। (-১০)

 তার আগের প্রেম নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করেন না। (+৯)
 আপনার প্রেম নিয়ে কিছু বলেন না। (-৫)
 যদি বলেন আপনার আগে প্রেম ছিল। (-৮)
 যদি বলেন ছিল না। (-১০)
 সে কষ্ট পেলে আপনি কষ্ট পান। (+৪)
 কিন্তু সেটা যদি তার কারণে হয়। (-৫)
 আবার তার ব্যবহারে যদি কষ্ট না পেয়ে স্বাভাবিক থাকেন। (-৯)

 শ্যালিকা আছে। (-২)
 শ্যালিকা আপনার প্রশংসা করে। (-৪)
 আপনি শ্যালিকার প্রশংসা করেন। (-৬)
 শ্যালিকা প্রায়ই বাসায় আসে। (-৭)
 আপনিই তাকে আসতে বলেন। (-৮)
 শ্যালিকা আপনাকে পছন্দ করে না। (+৩)
 আপনি শ্যালিকাকে অপছন্দ করেন। (০)
 আপনি শ্যালিকাকে ভালোবাসেন। (-১)
 খুব ভালোবাসেন না। (-২)
 শ্যালিকা আপনাকে ভালোবাসে কি না জানতে চাইলেন। (-৯)

 সে তার একটা সমস্যা নিয়ে কথা বলার সময় আপনি সেটা মনোযোগ দিয়ে শুনলেন এবং যখন যে রকম এক্সপ্রেশন দেওয়া দরকার সেটা দিলেন। (০)
 তার কথা আপনি বিনা প্রতিবাদে মনোযোগ দিয়ে আধা ঘণ্টা ধরে শুনলেন। (+২০)
 এর ভেতর একবারও টেলিভিশন অন করার কোনো রকম উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। (+৩০০)
 আপনি এক ঘণ্টা ধরে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনলেন। (+১০০০)
 এক ঘণ্টা পর সে আপনার নাক ডাকার শব্দ শুনতে পেল। (-২০০০)

সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো।

Share this post
Repost0
January 29 2011 6 29 /01 /January /2011 15:11

গাধাঃ আবে ঐ ছাগী!তুই ছাগল সারা জীবন ছাগলই থাকবি মানুষ হবি না কোনদিন।
ছাগলঃ ওই বেডা গেধু!গরুর মতো কথা বলছিস কেন?
গরুঃ কেডারে? কোন হালার পুত আমার নাম ধরে গালাগালি করে?ঘুষি মাইরা এক্কারে নাক ফাডাই লামু কইতাছি।
ছাগলঃআবে ওই বেআক্কেলের ভাতিজা।ফাডার মতো কথা কস কিল্লাই?তোর কি হাত আছে যে আমারে ঘুষি মারবে?।তোর তো বউ-ই নাই।আমি তোর হালার পুত কিমনে হইলাম?ভাগ নাই বেটার বড় কথা।
ফাডাঃ কিডা?কিডা আমার নাম লইছে?গুঁতা মারি ভোঁতা কইরা ফালামু কইতাছি।ভাগের ছাগী হইলে সামনে আয়।
শিয়ালঃ কি রে ছাগু! কি নিয়ে তোমর ঝগড়া করতাছ?
ছাগলঃ দেখেন পণ্ডিত মশাই।আপনি আমারে আর যাই কন,কিন্তু ছাগু কইবে না।আমার Injection আছে।
শিয়ালঃ আবে ছাগু! Injection না Objection বল। ছাগু কইলে নাকে হাগুর গন্ধ লাগে নাকি??
ছাগলঃআপনি পণ্ডিত হয়েও জানেন না ছাগু কারে কয়? হায় রে আমার বাঙালির কপাল।
শিয়ালঃআবে ঐ! তুই বাঙ্গালী নেতা গো মতো এত ঘুরাই পেঁচাই কথা কস কিল্লাই।সোজা কইতে পারিস না রঙ্গীলা ভাইয়ের নামের মতো?
ছাগলঃ তাইলে হুনেন মশাই।বাঙ্গালীরা ঐ নাপাক হারামীদের ছাগু বইলা ডাকে।আমার বড়ই কষ্ট হয়।আমার মুখে একটু আকটু দাড়ি আছে বইলা কি আমি ওদের মতো গাদ্দার,নিমক হারাম হইয়া গেলাম? আমি তো আমার মালিককে ঘাসের বদলে বাঁশ দেই না।দুধ দেই।তাইলে ওরা আমারে ছাগু কয় কিল্লাই আপনিই কন দেহী?আমি ছাগল হলেও আমারও তো একটা প্রেস্টিজ আছে না!!এতে আমার প্রেস্টিজ পাঙ্কচার হয় না?
শিয়ালঃআবে লেদাই।হূন!ওদের মাথায় যদি আমাদের মতো বুদ্ধি থাকতো তাইলে কি আর এমন করত?পৃথিবীর সব চাইতে বোকা জাতি হইল গিয়া বর্তমান বাঙ্গালী জাতি।ওরা বোকা না হইলে কি আর বুদ্ধি পেটে রাখে।আর ওদের বুদ্ধি পেটে বইলাইতো ওরা একে অন্যকে আমাদের বাচ্ছা বলে।
ছাগলঃ তা কিরকম মশাই একটু খুইলা কন?
শিয়াল আবে হালার তুই কি বধির?তুই কি হুনিস না ওরা যখন একে ওপরকে 
বাঘের বাচ্ছা,কুত্তার বাচ্ছা,শুওরের বাচ্ছা,শিয়ালের বাচ্ছা,ছাগলের বাচ্ছা,গাধার বাচ্ছা,হাতির বাচ্ছা ইত্যাদি বইলা ডাকে।।
ছাগলঃহো,বুঝবার পারছি এখন।আচ্ছা মশাই আপনার তো পেটে,থুক্ষু,মাথায় মেলা বুদ্ধি।এই ব্যাপারে কি আমরা কিচ্ছু করতে পারি না?এই যে ওরা আমাদের নাম Disuse কইরা বদনাম করছে……
শিয়ালঃউহম!কত করে কইছি ভাঙ্গা বাসমতি চাউল টাইপের ইংরেজী কইবি না।Misuse কে Disuse বলছিস।হুন লেদাই। এই ব্যাপারে কোন কিছু করার আগে আমাদের মাঝে পশুমত গড়ে তুলতে হবে আগে।তারপর…
কাকঃআমার Obsession আছে!!
শিয়ালঃকেডা?কেডা উপর থাইকা কথা কয়?তাও ভুল ইংরেজী!!Objection কে Obsession!
কাকঃআমি কইছি মশাই।
শিয়ালঃহো,তুই!তোর আবার কিসের সমস্যা?আর তরে না কত দিন কইছি কাউয়া আছিস কাউয়াই থাক।ময়ূর সাজার চেষ্টা করবি না।একবার ময়ুরের হাঁটা দিতে গিয়ে নিজের হাঁটাই ভুলা এখন ব্যাঙের মতো লাফাই লাফাই চলিস।বুড়ো হয়ে গেছিস কিন্তু খাছলতটা বদলাতি পারলি না।
কাকঃচুরি,চুরি,ভুলে Miscake হয়ে গেছে।আর ইংরেজী কমু না মশাই।
শিয়ালঃআবারো কইলে!!যাজ্ঞে সমস্যা কি তাড়াতাড়ি বল।
কাকঃবলিং মশাই বলিং।
শিয়ালঃআবে ঐ ফকিরনির পোলা।বলবি না বইলাও তো বলছিস!!আর এই বলিং বলিং করছিস কেন?এইডা কি ক্রিকেটের ময়দান?
কাঁকঃ বলিং মানে Shirtcut “বলতেছি”।আচ্ছা বাদ দেন।আমি যেডা কইবার চাইছিলাম।ওরা আমার নামটাকে বদনাম করতাছে।ওদের কারো ঘরে কালা বাচ্ছা হইলেই কয় কাউয়ার বাচ্ছা।আমার বাচ্ছারা খারাপ কাজ করলে আমি কি কখনো বলেছি মানুষের বাচ্ছা!!তাই মুই কইছিলাম পশুমতের সাথে পক্ষীমত ও জোরদার করার দরকার।
শিয়ালঃঠিক আছে,ঠিক আছে।এই নিয়া আরেক দিন বসুম নে।আজ আমার হাতে মেলা কাম।যাইগা এহন।আবে গরু,ছাগল,গাধা,ফাডা তোমরা আর এইসব নিয়া বাঙ্গালিদের মতো নিজেদের মাঝে জগড়া করনা।পশু আছ পশুর মতো মিলেমিশে থাক।মানুষের মতো ঝগড়াঝাঁটি আমাদের শোভা পায় না।

Share this post
Repost0

রঙ্গীলার রঙের দুনিয়া

  • : রঙ্গীলার রঙের দুনিয়া
  • : Bangla blog,Bangla Kobita & Golpo.Funny Pictures & Jokes.
  • Contact

Chat Box-চ্যাট বক্স

Search-অনুসন্ধান

Archives-আর্কাইভ

Page-পাতা

Category-ক্যাটাগরি