Overblog
Follow this blog Administration + Create my blog
January 30 2011 7 30 /01 /January /2011 20:02

গত মাসে অনলাইনে বাচ্ছাদের শীতের কাপড় আর বুট ইত্যাদি অর্ডার করেছিলাম।কিন্তু ডেলিভেরী আসার আগেই তুষার খান নেমে আসলেন।কি আর করা লকেল সুপারমার্কেটে চলে গেলাম।ওখানে সব মিলে।যেহেতু আমরা দুই আর আমাদের ছক্কা তাই সব সময়ই ট্রলি লাগে।আমি একটা ট্রলি নিয়ে ভিতরে ঢুকেই সু সেকশনে ডিরেক্ট চলে গেলাম।গিয়া দেখি ওরে বাব্বা!জিয়াফতের মতো অবস্থা।কোন রকম ছক্কাদের জন্য ৬ জোরা বুট ম্যনেজ করে ট্রলিটা একটু সাইডে রেখে শীতের কাপড় দেখতে লাগলাম।

Smileওম্মা! একটু পড়েই দেখি আমাদের ভদ্র সমাজের এক ভদ্র মহিলা আমার ট্রলি নিয়ে হাওয়া হয়ে যাচ্ছেন।দেখে আমি দিলাম দৌড়।।
.. এক্সকুইজ মি! এইটা আমার ট্রলি।
.. আপনে কইলেই হইলো?আপনার নাম লিখা আছে নাকি ট্রলিতে?
.. দেখেন ট্রলিতে যে সামান আছে তা আমার।
.. ট্রলিতে আমার ছেলেও তো বসে আছে।তাই বলে কি?..।
.. দেখেন আপনি কামখা কথা বাড়াচ্ছেন।আপনি আমার ট্রলিটা দেন, না হয় আমি কাস্টমার সার্ভিসে যেতে বাদ্য হবো।
.. আমি কাউরে ডরাই নাকি? যান কাস্টমার সার্ভিসে।দেখি কীভাবে আপনি প্রমান করেন এই ট্রলি আপনার।
.. এই ট্রলি যে আমার তা প্রমান করতে এক মিনিট ও লাগবে না।তাই তো বলছি আমাকে আঙ্গুল বাঁকা করতে বাদ্য না করে ট্রলিটা দিয়ে মান সম্মান নিয়ে চলে যান।
ব্যস মহিলার মাথায় গ্যাস্ট্রিক চড়ে গেল।চেঁচামেচি শুরু করে দিলেন।কাস্টমার সার্ভিস থেকে এসিস্টেন্ট ও এসে হাজির।এসিস্টেন্টকে সব খুলে বলার পর এসিস্টেন্ট বললো স্যার আমি আপনাকে আরেকটা ট্রলি এনে দেই।আমি বললাম না।চাইলে আমি নিজেও ট্রলি আনতে পারি।কিন্তু আমি আনব না।আমি এই ট্রলিই নিব এবং ভদ্র সমাজের এই অভদ্র মহিলাকে আজ উচিত শিক্ষা দিয়েই নিব।মহিলার গ্যাস্ট্রিক বার্স্ট হইতে শুরু করেছে।এসিস্টেন্ট বলছে স্যার বাদ দেন।আমি আপনার জন্য ট্রলি নিয়ে আসছি।আসিস্টেন্টকে বললাম ট্রলি নিয়ে আসেন কিন্তু আমার জন্য না।এই মহিলার জন্য।এসিস্টেন্ট ট্রলি নিয়ে আসার পর বললাম একটু দাঁড়ান এই ট্রলি কীভাবে আমার হলো তা একটু এই মহিলাকে দেখিয়ে দেই।মহিলা কিন্তু এখনো বুঝতে পারেননি আমি কি করতে যাচ্ছি।আমি মনে মনে হাসছি আর বলছি এইবার বীরের নতুন আবিষ্কার গু পড়া তোমার মাথায় যখন পড়বে তখন চিনবে কার সাথে ট্রলি নিয়ে টানাটানি করেছো।
এসিস্টেন্ট কে বললাম আপনি যে ট্রলি এনেছেন তার চাবি মহিলার স্লট,থুক্ষু ওই ট্রলির স্লটে ঢুকালে কি বের হবে?এসিস্টেন্ট বলছে এক পাউন্ডের একটা কয়েন না হয় স্মাইলি ট্রলি কয়েন।মহিলা বলছেন তো তাতে কি প্রামান হয়ে গেল ট্রলি আপনার?এইটা তো সবাই জানে।আমি বললাম সবাই জানলেও আপনি জানতেন না বা এখনো সিউর না।এই ট্রলির স্লটে দুই ধরনের কয়েন থাকে।একটা স্মাইলি একটা স্মাইলি ছাড়াই।আপনি কি বলতে পারবেন কোনটা রয়েছে এই ট্রলিতে?Smile
আমি জানি আপনে পারবেন না।কারন আপনি কোনদিন স্মাইলি কয়েন ব্যবহারই করেন নি।এইটা কিনতে হয় স্টোর থেকে এক পাউন্ড দিয়ে।আর ভিতরে যে কয়েনটা আছে ওইটাতে আমার নামের প্রথম অক্ষর এস মার্কার দিয়ে লেখাও আছে।এখনো কি বলবেন ট্রলিটা আপনার?


তারপর ট্রলি থেকে কয়েনটা বের করে মহিলাকে বললাম আপনি সামানসহ ট্রলিটা নিয়ে যান।তবে দয়া করে এইরকম আর কোনদিন করবেন না।ভদ্রতা শিখতে পয়সা লাগে না।

আসলে হয়েছে কি আগে এই সিস্টেম ছিলনা।বাচ্ছারা ট্রলি নিয়ে যেখানে সেখানে ফেলে দেয় তাই এই সিস্টেম।এই দেখেন ট্রলির অপব্যবহার

আপনারা কেউ কেউ হয়তো ভাবছেন এতো ঝামেলা না করে মহিলা এক পাউন্ড দিয়ে একটা ট্রলি নিয়ে আসলেই তো সব খাল্লাস।
আসলে অনেক সময় পকেটে এক পাউন্ড কয়েন থাকে না।কয়েন আনতে হলে কাস্টমার সার্ভিসে বা কোন টিলে গিয়ে কোন কিছু কিনতে হয়।লম্বা লাইন এড়াতে গিয়ে এই সহজ পথ অবলম্বন আরকি।তবে এই ভদ্র মহিলা শুধু ট্রলি নয় আমার সামানের জন্যও মহে হয় এমন করেছেন।কারণ এই সময় বুটের সর্ট ছিল।যে যা সামনে পাচ্ছিলো নিয়ে যাচ্ছিলো।মহিলা বেশী খাইতে গিয়ে শেষ মেশ ধরা খাইছেন আরকি।

Share this post
Repost0

রঙ্গীলার রঙের দুনিয়া

  • : রঙ্গীলার রঙের দুনিয়া
  • : Bangla blog,Bangla Kobita & Golpo.Funny Pictures & Jokes.
  • Contact

Chat Box-চ্যাট বক্স

Search-অনুসন্ধান

Archives-আর্কাইভ

Page-পাতা

Category-ক্যাটাগরি