Overblog
Follow this blog Administration + Create my blog
January 30 2011 7 30 /01 /January /2011 23:58


-হ্যালো!!কি করছ?গান শোনছো?
-তুমি কি করে বুঝলে?
-হুম!বুঝেছি মনের আয়না দেখে।
-তোমার মনের আয়নাতে আর কি কি দেখা যায়?
-অনেক কিছু।তুমি কি জানতে চাও বল!
-আচ্ছা,বলতো আমি গান শোনতে শোনতে কি ভাবছিলাম?
-তুমি মনে মনে আমার কথাই ভাবছিলে আর আমার ফোনের অপেক্ষা করছিলে।
-ইশ!আমার খেয়ে দেয়ে আর কোন কাম কাজ নাই।এমন করে বলছো যেন তুমি আমার শত জনমের চেনা।জানা নাই,চেনা নাই,দেখা নাই,সাক্ষাৎ নাই।আমি তোমাকে নিয়ে ভাবতে যাব কেন?
-এজন্যই এতো ভাবা।তোমার মনের কথা সবি আমি বুঝি,জানা চেনা থাকলে কি আর এতো ভাবতে? আফসোস শুধু একটাই থাকবে,জানা হবে,দেখাও হবে কিন্তু …।।
-কিন্তু কি?
-ও কিছু না।জাস্ট ওয়াইট ফোর দি টাইম।আচ্ছা শোন! তোমাকে যে জন্য ফোন করেছি।আমি একটু আগে একটা কুরিয়ার পাঠিয়েছি।
-কোথায়?কার কাছে?
-আরে বাবা আমাকে বলর সুযোগ দিলেতো বলবো!ভয় পেয় না।অন্য কাউকে না।তোমার ঠিকানায় তোমার নামে,তোমার জন্যই পাঠিয়েছি।
-আমার জন্য হঠাৎ কুরিয়ার?বোমা টোমা না তো?
-তুমিতো আদমরা হয়ে আছো।তোমাকে মারতে বোমা লাগে নাকি?
-আচ্ছা!আমি আদমরা হয়ে আছি তোমাকে কে বলেছে?তোমার মনের আয়না?
-আমাকে কেউ কিছু বলতে হয় না।সবার না বুঝলেও অন্ততঃ আমি তোমার না বলা কথা বুঝতে পারি।
-বাহ বা!তুমি মনোবিজ্ঞানের ছাত্রী নাকি?এত্ত সুন্দর সুন্দর কথা তুমি কইত্তেকে শিখেছ?
-সময়ের কাছ থেকে।সময় মানুষকে অনেক কিছুই শিখিয়ে দেয়।অনেক অজানা জানিয়ে দেয়।
-আমার বেলা উল্টো। আমি অনেক কিছু জনতে চাইলেও সময় আমাকে সেই সুযোগ দেয় না।
-আচ্ছা তোমাদের ওখানে বৃষ্টি হচ্ছে? আমাদের এখানে হচ্ছে।আমার বৃষ্টিতে ভিজে আইস ক্রিম খেতে বিষণ ইচ্ছে করছে।তুমি ভিজবে আমার সাথে? না,থাক। তোমার তো আবার বৃষ্টিতে ভিজলে শরীর খারাপ করে আর আইস ক্রিম খেলে গলা বসে যায়।
-না,আমাদের এখানে বৃষ্টি হচ্ছে না,তবে আকাশটা মেঘলা।আচ্ছা! যেসব কথা আমার পরিবারের সদস্যা ছাড়া যানা সম্ভব না সেইসব কথা তুমি জানলে কি করে?
-আরে ধুর।তোমার সাথে কথা বলতে আসলেই হামেশা মূল প্রসঙ্গ থেকে অনেক দূরে চলে যাই।শোন!আমি যে কুরিয়ার পাঠিয়েছি।ভিতরে দুইটা খাম আর একটা প্যাকেট আছে।কোনটা কখন খুলবে তা পরিষ্কার ভাবে লিখা আছে।ভুলেও উল্টা পাল্টা করবে না।কুরিয়ার পাওয়া মাত্রই সাদা খামটা খুলে ভিতরে দেওয়া ইন্সট্রাকশনটা ভালো করে ফলো করবে।একটু উনিশ বিশ করলে তোমার খবর আছে বলে দিচ্ছি!!তুমি কিন্তু আমাকে চিন না।আমি রেগে গেলে……।।
-ওরে বাপরে!রেগে গেলে ফুলন দেবীর মতো হয়ে যাও নাকি?আচ্ছা বাবা খুলব না।কিন্তু,প্রমিজ করছি না।বলাতো যায় না,যদি লোভ সামলাতে না পেরে খুলে ফেলি।না,আই মিন জীবনে প্রথম কোন মেয়ের কাছ থেকে কুরিয়ার পাচ্ছি তো তাই।আচ্ছা!তুমি কুরিয়ার না করে হামেশা যেভাবে চিঠি পত্র ইত্যাদি পাঠাও,রেকর্ডিড ডেলিভ্যারী সার্ভিসে পাঠালেই তো পারতে?
-যখন যে স্পিড প্রযোজ্য সেই স্পিডেই চলতে হয়।এমনিতেই সময় আমাকে পিছনে ফেলে অনেক দূরে চলে গেছে।আই এম রানিং বিহাইন্ড।এই সময়ই তো কালসাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে আমার জন্য।ডোন্ট ওয়ারী!তুমি এইসব বুঝবে না।আর প্রমিজ ট্রমিজ করতে হবে না,আই নো উই অন্ট ডেয়ার টু দ্যাট!
-তুমি যে কী আবোল-তাবোল বকে যাচ্ছ আমার মাথায় কিছুই ঢুকছে না।এমনিতেই মাথাটা আউলাঝাউলা হয়ে আছে।আচ্ছা!আমি খুলেও যদি বলি খুলি নাই?
-আমি ভালো করেই জানি তুমি এমন করবে না।মাথাটা ঠিক রাখ, এখন আউলাঝাউলা হয়ে গেলে বাকিদিন চলবে কি করে?
-বাপরে বাপ!এত্ত বিশ্বাস আমার উপর?বাকি দিন মানে?
-কিচ্ছু না।সময় হলেই সব বুঝতে পারবে।তোমার উপর আমার বিশ্বাস ছিল,বিশ্বাস আজও আছে বলেই তো…।।বিশ্বাস না থাকলে কি আর।।
-আর কি?মানুষের উপর এত বিশ্বাস রাখতে নেই।দেখোনা আমার উপর তোমার এত বিশ্বাস কিন্তু আমি।।
-আচ্ছা আজ রাখি।কাল ঠিক এই সময় কথা হবে ইনশল্লাহ।

Share this post
Repost0
January 30 2011 7 30 /01 /January /2011 23:56


-হ্যালো!আমাকে কল ব্যাক করো।
-আগের নাম্বারেই?
girl-হ্যা।আগের নাম্বারেই।
boy-হ্যালো!
girl-হ্যাঁ বলো।কুরিয়ার পেয়েছ?সব কিছু ইন্সট্রাকশন মতো করেছেতো?
boy-যদি বলি না?আচ্ছা এই ঠিকানাটা কার?তোমার বাসার নাকি কাজের?
girl-তুমি কি আমাকে এতোই বোকা ভেবেছ?আমি যে নাম্বার আর ঠিকানা দিয়েছি,তুমি ভুলেও ট্রেস করতে যাবে না।আমাকে তো পাবে না,অযথা নিজেই ঝামেলায় পড়বে।
boy-হো,বুঝেছি।
girl-কচু বুজেছো।শোন!আমি যা যা বলেছি সব দিয়েছো তো?
boy-না। কিছুই দেই নাই।আমি শুধু তোমার টাকাগুলো ফেরত পাঠিয়েছি কুরিয়ারের মাধ্যমে।
girl-ফাজলামি করছো?আমার সাথে ফাজলামি করলে ভালো হবে না বলে দিচ্ছি!
boy-না,আমি ফাজলামি করছি না।সিরিয়াস বলছি।আমি তোমাকে এইসব দিতে যাব কেন?টাকা দিয়ে তুমি নিজেইতো কিনে আনতে পার।আচ্ছা তোমার মতলবটা কি?তুমি কি চাও?আমার সাথে এমন করছো কেন?তোমার মতো ।।
girl-আমার মতো? আমার মত কি?ভয় পেয় না।নির্ভয় দিলাম বলে ফেল।মনের কথা পেটে রাখতে নেই।গ্যাস্ট্রিক আলচার হয়।তাছাড়া সময় আর সুযোগ বারবার আসে না।ফটাফাট বলে ফেলো মেরে।।।।
boy-মেরে কি?আর কিসের ভয়?হিন্দি সিনেমা দেখেতে দেখতে জীবনকেও সিনেমা ভাবতে শুরু করেছ নাকি?
girl-হোঁচট খাওয়ার ভয়।জীবন সিনেমা না হলেও,আমাদের জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকেই অনেক ছবি নির্মাণ হয়,তা কি তুমি অস্বীকার করতে পারবে?
boy-কিসের হোঁচট?আমি এত্ত সব বুজি না।শুধু জানি তোমার মতো পাগল মেয়ে আর একটাও জীবনে দেখিনি।
girl-তুমি কয়টা মেয়েই বা জীবনে দেখেছ?এক ধাক্কা খেয়েই তো হাঁটু ভাঙ্গা এর মতো অবস্থা।তাছাড়া আমাকেই তো দেখনি।আমার মতোটারে দেখবে কি করে?আগে আমাকেতো একবার দেখে নেও।তবে আমার মতো আর এক পিস আছে কি না আমারও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।মি ইজ মি।ইনফাক্ট তুমি খুজলেও মনে হয় পাবে না আমার মতো আরও এক পিস।
boy-আমার এত খোঁজাখুঁজির দরকারও না।আর কিসের ধাক্কা?এই সব ধাক্কা টাক্কা আমি বুঝিনা।
girl-বুঝেও না বুঝার ভান করলে আমি কি করবো বলো?বলা তো যায় না,আজ না হয় কাল,কোন একদিন দরকার পরেও তো যেতে পারে।তখন হয়তো।।।।
boy-হয়তো কি?তুমি কি ভাবছো আলাদিনের চিরাগ হাতে নিয়ে আমি তোমাকে খুজতে যাব?আর তুমি এতো ঘুরাই প্যাঁচাই কথা বলো কেন?সোজা ভাষায় বলতে কি তোমার কষ্ট হয়?এমনিতেই মাথাটা ব্যাথায় ফেটে যাচ্ছে।তার উপর তোমার এইসব জিলাপির প্যাঁচ টাইপের কথা আমাকে পাগল বানিয়ে ছাড়বে।ইউ আর ড্রাইভিং মি ক্রেজি।
girl-কিন্তু আমার তো লাইসেন্স নাই।হাউ কাম আই ড্রাইভ ইউ ক্রেজি?চা খাবে? মাথা টিপে দেব?এখনও তো ধরতেই পারিনি।আগে ধরে নেই পরে না হয় ছাড়াছাড়ির কথা ভেবে দেখব।তোমার কি ধারনা তোমার পাগল হইতে এখনও বাকি?
boy-হেহেহে,তোমার সাথে যার পরিচয় সে কি পাগল না হয়ে থাকতে পারে?
girl-তাহলে স্বীকার করছ তুমি আমার জন্য পাগল।হিহিহি।সরি,অনলি জোকিং।
boy-ও আল্লাহ!তুমি সিরিয়াসও হতে জান নাকি?
girl-যদি বলি জানি এবং আমি সব সময়ই সিরিয়াস!আমার হাসির পিছনেও কান্না লুকিয়ে থাকে,স্বপ্ন দেখার আগেই ভেঙ্গে যায়,পাওয়ার আগেই হারিয়ে যায়,কিনারায় পৌঁছাবার আগেই নৌকা ঢুবে যায়।ডানা মেলার আগেই পাখা ভেঙ্গে যায়।তুমি কি মানবে ?
boy-মানবো তবে এক সর্তে।যদি তোমার আসল পরিচয় আমাকে বল।
girl-এক্সকিউজ মি!আসল আর নকল কি?পরিচয় বলতে কি বুঝ?আমাকে কি তোমার নকল মনে হয়?
boy-আরে বাবা আমি তোমাকে নকল বলছি নাকি?উল্টা মতলব কেন বের কর?আমি শুধু তোমার পরিচয়টা জানতে চেয়েছি ব্যস!!
girl-পরিচয় দিয়ে কি হবে?ঘটক পাঠাবে?নাকি কিডন্যাপ করবে?আচ্ছা আমার বর্তমান পরিচয়ে কি আমাকে তোমার ভালো লাগে না?তুমি কি আমাকে অন্য কিছু মনে করছ?
boy-উফফ!  আমি বলি তিল আর ম্যাডাম বুঝেন তাল।যদি বলি কিডন্যাপ করতে নয় কিডন্যাপ হতে চাই?
 -জানতাম তোমার মুখ থেকে এইরকম একটা কিছু বের হবে।সময় আর ভাগ্য দুটাই খারাপ চলছে আমার।না হয় ডাক ডোল বাজিয়ে য়ামিই তোমাকে কিডন্যাপ করে এনে আচলে বেঁধে রাখতাম।
boy-কেন?সময়ের আবার কি অসুখ হয়েছে?
girl-সময়ের হয়েছে ক্যান্সার আর ভাগ্যের হয়েছে টিউমার।তাইতো আমি ,আমি।।
boy-কি ননসেন্স বকে যাচ্ছ।অনেক হয়েছে।এইসব পাগলামি রেখে এখন বাড়ি যাও।কাল ফোন কর মাথা ঠিক হলে।না হয় সহয ভাষায় আমাকে ঘটনা কি সব খুলে বলো।গতকাল থেকে তোমার মন-মানসিকতা অন্যরকম মনে হচ্ছে।

girl-তাড়িয়ে দিচ্ছ?আমি খুব খারাপ তাই না?তোমাকে সব সময় বিরক্ত করি।ঠিক আছে চলে যাব।দূর,বহু দূর।আর কোনদিন আসবনা বিরক্ত করতে।শুধু আর কয়টাদিন মাত্র একটু বিরক্ত করতে দাও প্লিজ।আমি চলে যাব,তোমাকে কথা দিচ্ছি আমি চলে যাব।বিশ্বাস করো আমি সত্যি সত্যিই চলে যাব।আর কোনদিন আসবনা,আসতে চাইলেও পারব না।Smileতবে যাবার আগে আমার আসল পরিচয় তোমাকে অবশ্বই দিয়ে যাব।আমাকে চিনতে তোমার বেশী সময় লাগবে না।একটা মাত্র ফোন কলই যথেষ্ট।তারপরও আমি লিখেছি,অনেক কিছু লিখেছি।এক নয়,দুই নয়,সতেরো পৃষ্টা লিখেছি।লাল,নিল,সবুজ অনেক রঙের কালি দিয়ে।কিছু কিছু লাইন অশ্রু দিয়ে আছে লেখা, যা হয়তো যাবে না দেখা।আমার এই চিঠিই শেষ চিঠি হয়ে থাকবে তোমার নিকট।তোমার মাথা সত্যি সত্যিই আউলাঝাউলা হয়ে যাবে এই চিঠি পড়ার পর।তুমি রাগ করবে,মনে মনে আমাকে বকাও দিবে।মাথায় গেষ্ট্রিক উঠে যাবে(তোমার ডাইলগ আজ তোমারই উপর অ্যাপ্লাই করলাম)।সিগারেট একটার পর একটা ধরাবে,যদিও তুমি আমাকে কথা দিয়েছিলে যে,আমার আসল পরিচয় জানার পর তুমি সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে।
boy-কিসের কথা?তুমিও তো আমাকে কথা দিয়েছিলে।তোমার গত জন্মদিনে বলেছিলে আমার জন্মদিনে আমাদের দেখা হবে,এক সাথে সেলিব্রেইট করবো।কোথায় তুমি আর কোথায় তোমার কথা?
girl-আমার মনে আছে।তোমাকে দেয়া কথা কি আমি ভুলিতে পারি!কিন্তু আমি বলেছিলাম তোমার জন্মদিনের আগে আমার আসল পরিচয় তুমি জেনে যাবে।আমাদের দেখা হবে এবং চেষ্টা করবো তোমার জন্মদিন এক সাথেই উদযাপন করার।আজ মঙ্গলবার।শুক্রবারে তোমার জন্মদিন।আরো তিনদিন বাকি ।এই তিনদিনে অনেক কিছুই বদলে যাবে।ঘটে যাবে অপ্রত্যাশিত অনেক কিছুই।বদলে যাব আমিও।সময় তোমাকেও বদলে দিবে।বদলাতে বাদ্য করবে।সময় বড়ই নিষ্ঠুর।উপরওয়ালা আমার সব কিছু কেড়ে নিয়েছেন।আমিও সময় আর ভাগ্যের হাতে নিজেকে সঁপে দিয়েছি।নেই কোন চাওয়া পাওয়া।শুধু একটাই মাত্র শেষ ইচ্ছা।তাও তোমার জন্য।আমি তোমাকে কথা যখন দিয়েছি,প্রান দিয়ে হলেও সেই কথা রাখার শক্তি যেন উপরওয়ালা আমাকে দেন।একপলকের জন্য হলেও যেন আমাদের দেখা হয়,আমি দেখতে না পারলেও তুমি যেন আমাকে দেখতে পাও।কাছ থেকে না হয় দূর থেকেই,জীবিত না হয় মৃতই।ভালোবাসার দৃষ্টিতে না হয় ঘৃণার দৃষ্টিতেই।তবুও তুমি যেন আমাকে একবার দেখ।তোমার আমার সম্পর্কের কথা আমাদের পরিবারে জানা জানি হয়েগেছে।না হয় আমি এক্ষনি তোমাকে আমাদের বাসায় চলে আসতে বলতাম।
boy-তোমাদের বাসায় আমি?তোমার মাথা ঠিক আছে তো?
girl-আমার মাথা এখনও ঠিক আছে।তবে বার্স্ট হইতে বেশ বাকি না মনে হয়।আমার শেষ চিঠিটা পড়লেই সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে তোমার কাছে।

boy-চিঠি কোথায়?প্যাকেটে? দাড়াও আমি প্যাকেট খুলে দেখছি।
girl-তোমার আল্লাহর দোহাই!প্লিজ তুমি প্যাকেটে হাত দিবে না।আমার কথা আগে শোন।চিঠি এখনও আমার হাতে।প্যাকেটে যা আছে সব তোমার,শুধু তোমার ।আর ২টা দিন অপেক্ষা কর প্লিজ।তুমি আমার এতদিনের বিশ্বাস ভেঙ্গে দিওনা।তোমার ভালাবাসা নাইবা পেলাম।তোমার বিশ্বাস নিয়ে আমাকে অন্ততঃ বাঁচতে দেও।আমার বেঁচে থাকার শেষ।।
boy-তুমি মিথ্যা বলছো।আমি তোমার কোন কথাই শুনব না।চিঠি প্যাকেটেই আছে আমি সিউর।আমি এক্ষনি খুলছি।তুমি ফোন রেখে অপেক্ষা কর।আমি একটু পর আবার কল করছি।
বাই। 

চলবে...

Share this post
Repost0
January 30 2011 7 30 /01 /January /2011 23:54


আসুন একটু পরিচয় করিয়ে দেইঃ
১।সাথী-যে ফোন করে জীবনকে।মাঝে মাঝে চিটিপত্র গিফট সিফট ও দেয়।আরে মাঝে মাঝে কি বলতে গেলে প্রতিদিনই চিঠি লিখে।
২।জীবন-যে সাথীর আসল পরিচয় না জানা সত্বেও সাথীর চিঠি পত্র পড়ে এবং ফোনে কথা বলে।শুধু পড়ে না মনে মনে অপেক্ষাও করে।

গত পর্বে জীবন পার্সেল খুলার জন্য ফোন রেখে দেয়।জীবনের ফোন রাখার পর সাথী অনেক বার ট্রাই করেছে কিন্তু জীবন ফোন আনসার করেনি।বিরক্ত হয়ে শেষে রিসিভার তুলে রাখে জীবন।সাথী বারবার ডায়াল করে ইংগেইজ টৌন শোনার পর মনে কষ্ট নিয়ে চলে যায়।

জীবন প্যাকেট খুলে খুঁজাখুঁজি করে যখন দেখলো সত্যিই প্যাকেটে চিঠি নেই।তখন নিজের প্রতি খুব রাগ হয়েছিল।জীবন রেগে গেলে হাতের কাছে যা পায় তাই ছুঁড়ে মারে বা লাথি মেরে ভেঙ্গে ফেলে,কিন্তু কারো উপর সহজে হাত তুলে না।কাছে বেড টেবিলের উপর রাখা পুষ্পধারটা দেয়ালে ছুঁড়ে মারে।ঠিক এই সময় কলিং বেল বেজে উঠে।দরজা খুলে দেখে জীবনের বন্ধ শামীম।শামীম জীবনের খুব গনিষ্ট বন্ধু।
-সেই কবে থেকে ফোন ট্রাই করছি ইংগ্যাজ মারছে।কার সাথে কথা বলছিলে?তোর সেই ফোনওয়ালীর সাথে?
-তুইও আর সময় পাইলি না!আয় ঘরে আয় পরে সব বলছি।
জীবন দৌড়ে তার রুমে চলে যায় আর শামীম যাচ্ছিল বাথরুমের দিকে।রুমে পা রেখেই জীবন “ওম্মা”বলে মেঝে বসে যায়।শামীম দৌড়ে এসে দেখে জীবনের পা দিয়ে রক্ত ঝরছে।জীবন শামীমকে বলছে দাঁড়িয়ে দেখছিস কি?টেবিলের উপর থেকে টিস্যুর বক্সটা দিয়ে যা কিচেন থেকে ফার্স্ট এইড বক্সটা নিয়ে আয়। কিচেনে ঢুকেই হাতের বামে দেখবি fire-extinguisher এর উপরই এক তাকে first aid বক্স রাখা আছে।
শামীম বলছে চল হাসপাতাল চল!আমার সাথে গাড়ি আছে।বেশী সময় লাগবে না।জীবন বলছে না হাসপাতাল যেতে হবে না।সামান্য কাঁচের এক টুকরো ছিল।তুই যা বক্সটা নিয়ে আয় তাড়াতাড়ি।শামীম ফার্স্ট এইড বক্স নিয়ে আসার পর antiseptic wipe দিয়ে ভালো করে মুছে প্লাস্টার লাগিয়ে দেয়।তারপর জীবন ফোন হাতে নিয়ে ডায়াল করতে লাগলো সাথীকে।কিন্তু অপার থেকে বলা হলো সাথী চলে গেছে একটু আগে।জীবন জানে যে সাথীর ডিটেলস চাইলেও ওরা দিবে না।তাই ফোন রেখে দিয়ে শামীমকে সব খুলে বলে।সব শোনার পর শামীম বলছে চল গার্ডেনে যাই।গার্ডেনে বসে সিগারেট টানতে টানতে চিন্তা করব।ওহ_তুই তো আবার সিগারেট ছেড়ে দিসিছ।তোর রুমেও খাওয়া নিষেদ।আরে না, তুই খাইতে চাইলে লিভিং রুম থেকে আস্ট্রেটা এনে এখানেই খা আর আমাকেও একটা দিস।আমি গার্ডেনে যেতে পারব না ওর ফোন আসতে পারে আবার বলছে জীবন।বাদ দে সিগারেটের কথা।তুই যখন ছাড়তে পেরেছিস তোকে আর নতুন করে শুরু করতে দিব না আমি।চল বরং কিচেনে গিয়ে চা বানিয়ে নিয়ে আসি।এতে আমার সিগারেটের নেশা চলে যাবে আর তোরও মাইন্ড একটু ফ্রেস হয়ে যাবে।আচ্ছা বাসায় কাউকে দেখছি না যে বলছে শামীম!
বাবা,মা সকল নানা বাড়ি গেছেন আজ সকালেই।দুই চার দিন থাকবেন এই বলে শামীমকে নিয়ে কিচেনে চলে যায় জীবন।জীবন চায়ে দুধ ঢালবে ঠিক এই সময় বেজে উঠে ফোন। জীবন দৌড়ে গিয়ে ফোন ধরে হেলো সাআআ___।।এহেম

-কি করছিস বাবা?
-না,মা,কিছুই না!তোমরা পৌছে গেছ?এতো দেরী হলো কেন?
-আর বলিসনে বাবা।আচ্ছা তুই খেয়েছিসতো? দেখ আমি রান্না করে রেখে এসেছি সব।সময় মতো খাওয়া দাওয়া করিস।আর আমাদের ফোনের কি হয়েছিল।আমি এক ঘন্টা ধরে ট্রাই করছি কিন্তু।।
-এমএম ও, মা,মা শামীম ফোন করেছিল তার সাথে কথা বলছিলাম ওই যে নতুন একটা ব্যবসার কথা বলেছিলাম না,ওই ব্যাপারে।সে এখন আমাদের বাসায়ই আছে।তাকে বলেছিলাম তোমরা বাসায় নেই তাই এসেছে আমাকে দেখতে।
-ভালো করেছে।শুন শামীমকে বলবে ওর কাজ না থাকলে থেকে যেতে বুঝলি!তোর ভালো না লাগলে তুইও কাজে যাবি না,ছুটি নিয়ে নিস।আমি এখন রাখছি।রাত্রে কোথাও বেরুবে না কিন্তু।শুন,শুন খাবার মাইক্রো অভেনেই গরম করেনিস।গ্যাসের কুকার অন করবি না।তোর যে ভুলা মন।।
-আচ্ছা মা,ঠিক আছে করব না।

শামীম চায়ে দুধ ঢেলে নিয়ে আসে,জীবন মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে ডাইনিং রুমে।মনে মনে নিজেকেই প্রশ্ন করছে হোয়াই ডিড আই ডু দ্যাট? আমি এমন করতে গেলাম কেন?না,আমি কাজটা ঠিক করিনি।আই শুড নোট হ্যাভ ডান দিস।মেয়েটা মনে খুব কষ্ট পেয়েছে।আমি ওর বিশ্বাস ভঙ্গ করেছি।না,না,আমাকে মাফ চাইতেই হবে,যে করেই হোক ওর সাথে কথা বলতে হবে,খুজে বের করতেই হবে।কে সে? কী তার আসল পরিচয়?কিন্তু__।
কি রে চা খাচ্ছিস না যে!ঠান্ডা হয়ে যাবে তো।ওহ তুইতো আবার টাটকা গরম চা খেতে পারিস না।তো কি ভাবছিস?সবি তো শুনলাম এখন কী করবে শুনি?আচ্ছা সত্যি করে বলতো তুই কি ফোনওয়ালীকে ভালবাসতে শুরু করেছিস?আমার তো মনে হয় শালা তুই ওর প্রেমে পড়ে গেছিস।
আবারো ফোন রিং হচ্ছে!জীবন ফোন ধরতেই___।
-কি রে কি করছিস?মা ফোন করেছিলেন?তুই খাওয়া দাওয়া করেছিস?তোকে কত করে বললাম আমার এখানে চলে আয়।একবার না বলছিস তো না___।
-হ্যাঁ কিছুক্ষণ আগে মা ফোন করেছিলেন।আচ্ছা আপু! দুলা ভাই কি বাসায়?
-না রে,একটু আগেই তো কাজে চলে গেছে।কেন? কোন দরকার থাকলে আমাকে বলতে পারিস।কাজের ফোন নাম্বার দিব?
-না,থাক।এমনিতেই জিজ্ঞ্যাস করেছিলাম।আচ্ছা আপু এখন রাখি!!বাই।
-কার ফোন ছিল? বড় আপার?চল বড় আপার বাসায় ঘুরে আসি।অনেকদিন হিটলারের সাথে দেখা হয়নি।আজ রেস্টুরেন্টে খেয়ে হিটলারের ওয়ালাটের ওজন একটু কমিয়ে আসবো বলছে শামীম।
-হিটলার বাসায় নেই কাজে।আচ্ছা আজ কি তোর ছুটি?
-শুধু আজ না,পুরো এক সপ্তাহের ছুটি।
-খুব ভালো হয়েছে।তুই একটু খাড়া আমি মাকে একটা ফোন করে নেই।
-হেলো খালা! মাকে একটু দিবেন?না থাক দিতে হবে না।আপনি শুধু মাকে বলে দিবেন যে,আমি আমার বন্ধু শামীমের সাথে ওর বাসায় চলে যাচ্ছি।আজ ওখানে থেকেও যেতে পারি।আমি পরে আবার ফোন করব।রাখি খালা!সালামালিকুম।

-ওই চল আমার সাথে।
-কোথায়?
-আগে গাড়িতে ওঠ গিয়ে পরে সব বলছি__

চলবে>>>

Share this post
Repost0
January 30 2011 7 30 /01 /January /2011 23:52


ফ্রিজ থেকে কোকা-কোলার দুইটা ক্যান আর কিট-কাট চকলেট হাতে নিয়ে শামীম আর জীবন গাড়িতে ঊঠে।শামীম গাড়ি স্টার্ট দিয়ে বলছে কোন দিকে যাবো?সামনে গিয়ে বামে এটিএম এর সামনে থামবে,তারপর পেট্রোল স্টেশনে গিয়ে টাঙ্কি ফুল করবে বলছে জীবন।এটিএমের সামনে এসেই শামীম গাড়ি থামায় জীবন নেমেই পকেটে হাত দিয়ে ফিরে এসে আবার গাড়িতে উঠে শামীমকে বলছে গাড়ি ঘুরা ওয়ালেট আনতে ভুলে গেছি।ওয়ালেট লাগবে না আমার কাছে যা আছে এতে টাঙ্কি ফূল হয়েও থাকবে বলছে শামীম।জীবন বলছে তোকে বলেছি গাড়ি ঘুরাতে তুই গাড়ি ঘুরা নইলে স্টিয়েরিং আমার হাতে দে।তোর হাতে আজ স্টেয়ারিং দেওয়া মানে নিজের কূলখানির ব্যবস্থা করা বলছে শামীম।
-শালা!তোমরা মরনকে এতো ভয় পাও কেন?
-মরণের চাইতে জীবনকে বেশী ভালোবাসি বলে তাই।
-তুই কি মনে করিস জীবনকে ভালোবাসলেই মরণের হাত থেকে পেয়ে যাবে রেহাই?
-তুই খাড়া আমি যাচ্ছি আর আসছি ২মিনিট।তো আর কিছু লাগবে বলে জীবন গাড়ি থেকে নেমে যায়।
-শালা তোর মতিগতি ঠিক না।আমিও আসছি ফিসফিস করে বলছে শামীম।

জীবন ঘরের দরজা খুলে সোজা রুমে চলে যায়।টেবিলের উপর থেকে ওয়ালেটটা হাতে নিয়েই আবার বেরুয়ে আসে। এক পা ঘরের ভিতরে আরেক পা বাহিরে,ঠিক এইসময় টেলিফোনের ঘন্টি বেজে ওঠে।শালা!এখন আবার কে ফোন করেছে বলে দৌড়ে ফোন ধরতে যায়।জীবন ফোন ধরার আগেই লাইন কেটে যায়।জীবন একটু দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়।কে হতে পারে? সাথী?আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবো?এইসময় শামীম এসে বলছে আমার মাথাটা একটু ব্যাথা করছে,প্যারাসিটামল আছে?থাকলে দুইটা নিয়ে আয়,আমি মাকে ফোন করে জানিয়ে দিচ্ছি আজ তোর এখানেই থাকবো।মাথাতো আমারও ব্যাথায় ফেটে যাচ্ছে।আমিও দুইটা না খেলে মাথা খাড়া রাখতে পারব না।তুই খালাম্মাকে জানিয়ে দে আর আমি তোর জন্য প্যারাসিটামল আর চা বানিয়ে নিয়ে আসছি বলে জীবন কিচেনে চলে যায়।
আরে না চা লাগবে না।কফি থাকলে ব্লাক কফি এক কাপ নিয়ে আয় বলছে শামীম।জীবন কেটল অন করে বাথরুমে চলে যায় হাত মুখ ধুয়ে একটু ফ্রেস হতে।সারাটা দিন না খেয়ে আছে রাত্রেও ভালো ঘুম হয়নি তাই চোখ লাল হয়ে আছে।জীবন হ্যান্ড শাওয়ার দিয়ে মাথায় একটু পানি দিচ্ছিলো এই সময় ফোন বেজে ঊঠে।শামীম ফোন ধর আমি আসছি বলেই তড়িঘড়ি ছুটে আসে।আসার সময় হোঁচট খেয়ে পড়তে পড়তে অল্পের জন্য বেঁচে যায়। এই নে তোকে চায় বলে শামীম ফোট জীবনের হাতে তুলে দিয়ে কিচেনে কফি বানাতে চলে যায়।

-হ্যালো সাআআ
-আপনে জীবন?
-কিন্তু আপনি?
-আপনি যাকে খুজছেন তার বান্ধবী।
-আপনি সাথীর ফ্রেন্ড?
-জ্বী,ঠিক ধরেছেন।
-সাথীকে একটু দেন প্লিজ।
-স্যরি!সাথী নেই।
-হোয়াট?নেই মানে?
-আই মীন সাথী তার বাসায়।আমি সাথীর হয়েই আপনাকে ফোন করেছি।
-কেন? সাথীর কী হয়েছে?
-অনেক কিছুই ঘটতে পারতো।থ্যাঙ্কস গোড!কিচ্ছু হয়নি।
-ভূমিকা না টেনে একটু সর্টকাট বলবেন কি প্লিজ!
-আপনি এতো ইম্পেইশন্ট্ (অধৈর্য)কেন?
-তা আপনার বান্ধবীই ভালো বলতে পারবে।
-চিঠি পড়েছেন?পরিচয় পেয়েছেন?
-দেখুন খুঁচা দিবেন না!আপনার যা বলার সরাসরি বলে ফেলুন প্লিজ।তারপর আমার কিছু কথা আছে যদি আপনি বলার সুযোগ দেন তো।
-আগে আপনারটাই বলুন শুনি কী বলতে চান!
-আসলে বলতে নয়,জানতে চাই।আপনার বান্ধবীর আসল পরিচয়টাই শুধু জানতে চাই।এইটা কী বেশী চাওয়া হয়ে গেল?
-পরিচয় জেনে কী করবেন কৃপা করে একটু বলবেন কী?
-ডাকাতি করতাম।আপনি কী বুথ থেকে কল করছেন?চাইলে আমি আপনাকে কল ব্যাক করতে পারি।
-বুঝলেন কী করে?
-কমন সেন্স।আপনি সাথীর বান্ধবী না!
-আমার বান্দবীকে খুব ভালই জানেন দেখছি!ঠিক আছে নাম্বার লিখে রাখুন এখনো কিছু পয়সা বাকি আছে।লাইন কেটে গেলে কল ব্যাক করবেন।
-হ্যালো,আছেন?লিখে রাখছি।লাইন কেটে গেলে কল ব্যাক করব।আপনি যাবেন না কিন্তু।
-জ্বী,আছি বলেন?
-আমার যা বলার ছিল আপনাকে বলে দিছি।এখন আপনার উত্তরের অপেক্ষা।
-কিন্তু আপনার এই প্রশ্নের উত্তর যে আমার কাছে নেই।
-জ্বি আর বলতে হবে না।আমার বুঝ হয়ে গেছে।এক ক্ষুরে মাথা কামানো!( ফিসফিস করে)বলছে জীবন।
-কী বললেন?আবার বলুন।
-না,বলেছি চুল অনেক লম্বা হয়ে গেছে।ক্ষুর দি্যে কামানোর সময় এসে গেছে।আপনি যা বলার জন্য এসেছেন বলে ফেলুন।আপনাকে দিয়ে আমার কোন কাজ উদ্ধার হবে না।আমার কাজ আমাকেই করতে হবে।
-ভাগ্যে বিশ্বাস করেন? যদি করে থাকেন তাহলে মনে করেন আপনার আর আপনার সাথী,দুজনেরই ভাগ্যটা খারাপ।
-আমার সাথী? কিসের উপর ভিত্তি করে বললেন?গাছে কাঁটাল আর গোঁফে তেল।জানা নেই,চেনা নেই,দেখা নেই সাক্ষাত নেই।সাথী আমার হয়ে গেল এমনিতেই!দেখুন আমি কোন যুক্তি তর্কে যেতে চাই না।আমি আপনাকে অনুরোধ করছি।আপনি সাথীর আসল পরিচয়টা আমাকে দিয়ে পাগল হওয়া থেকে বাচান প্লিজ।তাও যদি না পারেন।অন্ততো ওর সাথে একবার আমাকে কথা বলার সুযোগটা করে দেন।
-ভাগ্য সুযোগ না দিলে আমি কি করব বলুন!আজ সে এসেছিল আপনার সাথে প্রান খুলে কথা বলতে।কিন্তু আপনি দিলেন তো ওর মনটা ভেঙ্গে চুরমার করে।আমি না ধরলে আজ হয়তো গাড়ির নিচে চাপা পড়ে মারাই যেতো।কী করবেন আপনি পরিচয় যেনে?ওর ভাগ্য তো আর আপনে বদলাতে পারবেন না!আমি শুরু থেকেই বলে আসছি সাথী তুই এই পথে পা বাড়াসনে।আমাকে দেখ,আমি কি চেয়েছিলাম জীবনে আর কি পেয়েছি!মেয়ে হয়ে জন্মানোই মনে হয় আমাদের অপরাধ।এই যোগেও আমাদেরকে জীয়ন্ত কবর দেওয়া হয়।ইমোশনালী ব্ল্যাক মেইল করে আমাদের আশা,আকাঙ্ক্ষার খুন করা হয়।আমরা ফুলদানীর মত,উই হ্যাভ নো চয়েস।আমাদের ফিলিংসের কোন কদর নেই।তুই এতো বড় রিস্ক নিতে যাসনে।মরণ ফাঁদে পা দিসনে।
-দেখুন!আপনার কথার আগাগোড়া কিছুই আমি বুঝতে পারছি না।আপনে কি আরেকটু খুলে বলবেন?
-আমার কথা বুঝতে সত্যিই কি কষ্ট হচ্ছে জীবন ভাই?নাকি বুঝেও না বুঝার ভান করছেন?

লাইন কেটে যায়।জীবন বারবার ট্রাই করছে কিন্তু “ নাম্বার উই হ্যাভ ডায়েল্ড নোট বীন রেকগনাইজ” প্রম্পট শোনায়।

চলবে>>>

Share this post
Repost0
January 30 2011 7 30 /01 /January /2011 23:44

কিছুক্ষণ পর আবার ফোন আসে। জীবন এইবার সঠিক নাম্বারটা লিখে কল ব্যাক করে।
-হেলো।
-হ্যাঁ,শুনেন জীবন ভাই।আমার হাতে বেশ সময় নেই।সাথীর সেই ১৭ পৃষ্ঠার চিঠি খানা এখন আমার হাতেই আছে।আমি কাল সকালেই কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দিব।বৃহস্পতিবার দুপুরের আগেই আপনার হাতে পৌঁছে যাবে আশাকরি।আপাততঃ আমি আপনাকে কিছু হিন্ট দিচ্ছি।সাথীর পাঠানো পার্সেল আবার ভালো করে চেক করে দেখুন।আপনি একটা অডিও টেইপ পাবেন।সেই টেইপ মনোযোগ দিয়া শোনার পর আপনার অনেক প্রশ্নের উত্তরই পেয়ে যাবেন আশা করি।এর চাইতে বেশী কিছু আমি আপনাকে বলতে পারব না,স্যরি।আমার ট্রেন আসার সময় হয়ে যাচ্ছে।সাথীর বাসা থেকে আমার বাসা তিন মাইল দূরে।আজ আর সাথীর সাথে দেখা হবে না।সাথীর বাসার ফোন নষ্ট তাই কথাও হবে না।
-ফোন নষ্ট হলে তো ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা।
-শুধু সাথীর না,ওদের এরিয়ার সবারই ল্যান্ড লাইন বন্ধ।কিসের মেইজর কাজ চলছে তাই ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে ফোন ঠিক হতে।আমি আগামীকাল ট্রাই করব বাট ক্যান্ট প্রমিজ উই।ভাগ্যে থাকলে সাথীর সাথে আপনার কথা হবে আগামীকাল।আপনার কাছে আমার একটা অনুরোধ যতক্ষণ পর্যন্ত সাথী নিজ থেকে ধরা দিবে না,আপনি ওকে খোঁজার চেষ্টা করবেন না।ভালো থাকুন।আল্লাহ হাফেজ।

অডিও টেইপ শোনার পর জীবন ফোন তুলে ডায়েল করতে লাগলো বড় ভাবীর নাম্বার।কিন্তু এক রিং করার পর ফোন রেখে দেয় জীবন।তারপর ডায়েল করে রাঙ্গা ভাবীর নাম্বার,রিং হচ্ছে কিন্তু কেউ ধরছে না।জীবন ফোন রেখে ভাবতে লাগলো।তাহলে কী সাথীই ডলি?এই বড় ভাবীও না দেশে যাওয়ার আর সময় পাইলেন না।কিন্তু ডলি এমন করতে যাবে কেন?সাথী যদি ডলি হয়ে থাকে রাঙাভাবী অবশ্বই চিনবেন।কারণ সাথী বলেছে আমার সাথে ওর একবার দেখা হয়েছে।বড় ভাবীও রাঙ্গাভাবীকে দেখে আসার পর থেকেই তো বলছিলেন তোর জন্য আমি একটা ডলি দেখে এসেছি।আমি এই ডলিটাকেই আমার দেবরানী করে ঘরে আনতে চাই।যদিও সাইজে একটু ছোট তোর সাথে মানাবে কিন্তু।মেয়ে তো নয় যেন ডানাকাটা পরী।সাথী তাহলে আমাকে রাঙ্গাভাবীর বিয়ের অনুষ্ঠানেই দেখেছে।
উফফ!এই রাঙ্গাভাবীও যে কেন ফোন ধরছেন না কিছুই বুঝতে পারছি না।আচ্ছা বড় আপাকে একটা ফোন দেই।
-বড় আপা! বড় ভাবীর দেশের ফোন আছে তোমার কাছে?
-বড় ভাবীতো গ্রামের বাড়িতে রে।গ্রামের বাড়িতে ফোন নেই।আর থাকলেও আমার জানা নেই।তুই রাঙ্গা ভাবীকে ফোন করে দেখ।উনার কাছে থাকলে থাকতে পারে।
-ট্রাই করেছি।রাঙ্গাভাবী তো ফোন ধরছেন না।
-ও মনে পড়েছে।রাঙ্গাভাবী মনে হয় বাপের বাড়ি চলে গেছেন।মাওই সাহেবার অবস্থা নাকি খুব সিরিয়াস,লাস্ট স্টেজে।বাবাই তো খবরটা আমাকে দিলেন।মনে হয় তোকে বলতে ভুলে গেছেন।পারলে গিয়ে একদিন দেখে আয় না।
-কিন্তু ওদের ঠিকানাতো জানিনা।ফোন নাম্বার ও নেই আমার কাছে।আমি কোনোদিন রাঙ্গাভবীর বাপের বাড়ি যাইনি।বিয়ের সময় হোলে গিয়েছিলাম।
-আমি মাত্র একবার গিয়েছিলাম,শুনেছি ওদের বাসা বদলি করেছেন।ঠিকানা জানা নেই আমারও।ফোন নাম্বার আছে।

বড় আপার কাছ থেকে নাম্বার এনে বারবার ট্রাই করছে কিন্তু সংযোগ পাচ্ছে না।অপ্যারেটারের সাহায্যে ট্রেস্ করার চেষ্টা করছিল কিন্তু এক্স-ডিরেটোরী নাম্বার বলে কোন হদীস মিলেনি।

পাগল হয়ে রাংগাভাইয়ার বিয়ের নিমন্ত্র কার্ড খুঁজতে লাগে।অবশেষে ফ্যামেলী এল্বামে পেয়ে যায় কার্ড।এক মুহুর্ত ও দেরী না করে শামীমকে নিয়ে পৌঁছে যায় কার্ডের ঠিকানায়।কিন্তু ওখান থেকেও নিরাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে।তারপর চলে যায় সাথীর পার্সেলের ঠিকানায়।কিন্তু শত চেষ্টার পরও কোন তথ্য উদ্ধার করতে না পেরে শুন্য হাতেই জীবনকে ফিরতে হয়েছে নিজ বাসায়।

শামীম জীবনের কাছ থেকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যা যা ঘটেছে সব শোনার পর বলছে।আমি নিশ্চিত এই ফোন ওয়ালিই ডলি।রাঙ্গাভাইয়ার বিয়ের অনুষ্ঠান থেকেই কাহানী শুরু অর্থাৎ তোকে ফোলো করছে।তোর রাঙা ভাবীর কোন রেলেটিভ হবে।
-আচ্ছা তোর রাঙ্গাভাবীর কোন ছোট বোন আছে?
-আছে মনে হয় একটা।আমার সাথে দেখা বা কথা হয়নি।তুইতো জানিস ভাবীর সাথেই আমার দেখা সাক্ষাত খুব কম হয়।৬/৭ ঘন্টার জার্নী তাই যেতে ইচ্ছে করে না।মাঝে মাঝে উনারাই আসেন। কিন্তু রাঙ্গাভাবীড় বোন এমনটা করতে যাবে কেন ভেবে পাচ্ছি না।
-হয়তো তোকে প্রথম দেখাতেই পছন্দ করে বসেছে।দুর থেকে তোকে জানা চেনা,তোর মন বুঝার চেষ্টা করছে।
-আরে মনে পড়েছে!রাঙ্গাভাবী কিছুদিন আগে কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন।উনার ছোট বোন নাকি অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ করতে চায় না।সে তার পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করবে।মানে লাভ ম্যারেজ।আমি বলেছিলাম লাভ,অ্যারেঞ্জ কোনটাই আমি করতে চাইনা।ভাবী শুধু হেসে ছিলেন আমার কথা শুনে।তুই তো আমাকে আরো চিন্তায় ফেলে দিলে শামীম।তুই যা ভাবতে পারিস আমি তা পারি না কেন?তুই অনেক দুরের চিন্তা করতে পারিস কিন্তু আমি পারি না।আমার মাথায় এইসব চিন্তা আসে না কেন রে?
-কারণ তুমি শালা নেগেটিভ চিন্তা করতে চাওয়া না।
-আচ্ছা ধরেনে যে সাথীই রাঙ্গাভাবির ছোট বোন।এখন আমার কী করা দরকার?
-রাত অনেক হয়েছে তোমার এখন নাকের ঢগায় তেল দিয়া ঘুমানো দরকার।গেইম ইজ অভার।এখন কারো কিছু করার নেই।কিছু করার থাকলে তোমার রাঙ্গাভাবীই করতেন।
-তোর কি মনে হয় না এই ব্যাপারে রাঙ্গাভাবীর আমার সাথে কথা বলার দরকার ছিল ?তাছাড়া সাথী তো সেদিনও বলেছে আমার জন্মদিনের আগে আমাদের দেখা হবে!অন্ততো মাওই সাহেবার অসুখের কথাটাতো আমাকে জানাতে পারতো!
-সব কথা সব সময় মুখে বলা সম্ভব হয় না।হয়তো সে চিঠিতে লিখেছে।তুমি তোমার সাথীকে নিয়া মরুভুমিতে যত খুশি সাঁতার কাটো।আমি এখন ঘুমাই।নাইট নাইট,হোল্ড টাইট।

পরদিন সকাল সাথীর বান্ধবী চিঠি কুরিয়ার করে এসে জীবনকে ফোন করে জানিয়ে দেয়।সে শত চেষ্টার পরও সাথীকে ঘর থেকে বের করতে পারেনি।সাথীর মায়ের সন্দেহ সাথী পালিয়ে যাবে।তাই সাথীকে কোথাও যেতে দিচ্ছেন না।সাথী পালিয়ে গেলে যে উনার শেষ আশা পুর্ণ হবে না।সাথী যখন ছোট ছিল তিনি সাথীর খালাকে কথা দিয়েছিলেন বড় হলে সাথীর খালাতো ভাইয়ের সাথে সাথীর বিয়ে দিবেন।সাথীর মা লাস্ট স্টেজে।নিজের সিদ্ধান্তে অটল।কারো কোন কথা শোনবেন না।শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের আগে সাথীকে বোনের হাতে সঁপে দিতে চান।তাই সাথীকে নিয়ে দেশে যাওয়া হচ্ছে বৃহস্পতিবার।সাথীর পরিবারের সবাই মিলে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করেছেন কিন্তু কারো কোন যুক্তিই কাজে লাগেনি।উনার একটাই কথা আমি এতো সব বুঝি না।আমি আমার বোনকে কথা দিয়েছি কথার বরখেলাপ করতে পারব না।

জীবনের আর বুঝতে বাকি নেই,সাথীই ডলি আর ডলিই রাঙ্গাভাবীর ছোট বোন।জীবনের বিশ্বাস রাঙ্গাভাবীর ফোন আসবে।ফোন নষ্ট বা কোন ঝামেলার কারণে হয়তো ভাবী ফোন করতে পারছেন না।

পরদিন সকাল চিঠিও আসে রাঙ্গাভাবীর ফোন ও আসে।সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যায়।দুঃখীত ভাই কিছুই করতে পারলাম না ছাড়া আর কিছুই বলার ছিল না ভাবীর।ভাবীর অনুরোধ জীবনকে এয়ারপোর্ট আসতে হবে সাথীর জন্য।শেষ বারের মতো জীবনকে কাছ থেকে একবার দেখে যাওয়ার আশা নিয়ে অপেক্ষা করবে সাথী জীবনের দেওয়া সেই লাল সুট পড়ে।বিকেল ৪টায় ফ্লাইট।এখন বাজে ১২টা।জীবন এখনো কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।জীবনের বাসা থেকে এয়ারপোর্ট পৌঁছাতে দুই আড়াই ঘন্টা লেগে যাবে।ট্রাফিক জ্যাম হলে ৪/৫ঘন্টাও লেগে যেতে পারে।

অনেক ভাবনা চিন্তার পর জীবন আর শামীম রওয়ানা দেয় এয়ারপোর্টের দিকে।অর্ধেক পথ পার হওয়ার পর ট্রাফিকের অবস্থা খুব খারাপ দেখে জীবন নেমে যায় এক ট্রেন স্টেশনের সামনে।ট্রেন নিয়ে জীবন পৌঁছে যায় এয়ারপোর্ট। আরো ২০/২৫ মিনিট দেরী হলে হয়তো জীবনকে শেষ দেখা না দেখেই ঊড়াল দিতে বাদ্য হতো সাথী।রয়ে যেত সাথীর মনে না পাওয়ার বেদনার সাথে শেষ বারের মতো না দেখার কষ্ট।রাঙ্গাভাবী জীবনকে এয়ারপোর্টের ইন্টারেন্সএর দিকে আসতে দেখেই এগিয়ে আসেন।জীবনকে উপরে ওয়েটিং রুমে চলে যেতে বলে তিনি চলে যান।কিছুক্ষণ পর ওয়েটিং রুমের দিকে লাল সুট পড়ে দ্রুত গতিতে একটা মেয়ে আসছে দেখে জীবনও সামনের দিকে এগিয়ে আসে।যত কাছে যাচ্ছে হার্টবিট ততো ফাস্ট হচ্ছে।জীবনের পড়নেও সাথীর দেওয়া সার্ট প্যান্ট।পিছন থেকে আওয়াজ আসে তাড়াতাড়ি করো সময় খুব কম।আমি ওইদিকটা ম্যানেজ করে আসছি।কোন কথা না বলেই সাথী এসে জড়িয়ে ধরে জীবনকে।জীবনের মনে অনেক প্রশ্ন,বুকে জমানো অনেক কথা,কিন্তু কেন যেন দুজনই নির্বাক স্পিচলেস হয়ে গেছে।কথা হচ্ছে চোখের ভাষায়।সাথী শক্ত করে জীবনের হাত ধরে থাকিয়ে আছে চোখের দিকে।দুচোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছে।মনের কথা বলার চেষ্টা করেও বলতে পারছে না।বারবার ব্যার্থ হচ্ছে।যতোবারই ব্যর্থ হয় ততোবারই জীবনকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরছে সাথী।

-চিঠি পেয়েছ?পরিচয় জানা হয়েছে?আরকোন কিছু জানতে চাও?চুপ কেন?এই দেখ তোমার দেওয়া সুট পড়ে এসেছি।আমাকে কেমন লাগছে বলবে না?তোমার বড় ভাবী বলতেন আমি নাকি পুতুলের মতো দেখতে।তাই উনি আমাকে ডলি বলতেন। আমি কি সত্যিই দেখতে ডলের মতো?আসলেইতো আমি একটা পুতুল।একটা জীয়ন্ত লাশ হয়েই তো বেঁচে থাকতে হবে বাকিটা জীবন।আমার বান্ধবীর কথাই ঠিক।মেয়ে হয়ে জন্ম নেওয়াটাই মনে হয় আমাদের অপরাধ।তুমি কি বোবার মতো শুধু আমার দিকে থাকিয়েই থাকবে,কিছুই বলবে না?তোমার কী কিছুই বলার নেই?

একটু দূর থেকে রাঙ্গাভাবী আওয়াজা দিচ্ছেন সময় শেষ।এক্ষনি যেতে হবে।সাথী চলে আয় তাড়াতাড়ি।সাথি গলা থেকে একটা ব্রৌকেন হার্ট প্যনাডানটের এক অংশ খুলে নিজ হাতে জীবনের গলায় পড়িয়ে দিয়ে আবারো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।জীবন কিছু বলতে চেয়েও পারছে না।সাথী জীবনকে ছাড়ছে না দেখে রাঙ্গাভাবী কাছে চলে আসেন।
-সাথী ছেড়ে দে বোন।ওকে যেতে দে।সাথী কোন কথাই শুনছে না।শক্ত করে ধরে আছে জীবনের গলা।চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করেছে।সাথীর বান্দবীও এসে পড়েছে।রাঙ্গাভাবী আর সাথীর বান্ধবী দুজন মিলে সাথীকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন।সাথী গলা ছেড়ে জীবনের হাত ধরে আছে।জীবন বাম হাত দিয়ে পকেট থেকে একটা ক্রাইং হার্ট প্যানডেন্ট সাথীর হাতে তুলে দিয়ে বলছে আই অ্যাম স্যরি,থাঙ্কস ফোর এভেরীথিং সাথী।

তারপর শুরু হয় টানাটানি।জীবন সাথীকে বলছে,পিছন দিকে না থাকিয়ে চক্ষু বন্ধ করে এক দৌড়ে চলে যাওয।আমার দিকে থাকালে তুমি যেতে পারবে না আর আমিও তোমাকে ধরে রাখার লোভ সামলাতে পারব না।তুমি সত্যিই একটা পুতুল।তোমাকে সাজিয়ে দেখার স্বাদ থেকেই গেল।আমার জায়গায় অন্য কোন ছেলে হলে সত্যিই কিডন্যাপ করে নিয়ে যেত,কিন্তু আমি হতভাগা_____।এই বলে সাথীর হাত ছেড়ে জীবন দৌড়ে চলে যায়।

স্যরি এবং থ্যাঙ্কস কেন? জীবন সাথীর বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে।সাথীকে চিনতে ভুল এবং দেরী করেছে,সাথীকে ততোটা সিরিয়াসলী নেয়নি যতটা প্রয়োজন ছিল।সাথীকে ধরে রাখার জন্য কিছুই করতে পারল না তাই স্যরি।
সাথী বিষণ্ণতা দূর করে জীবনকে নতুন করে হাসতে এবং হাসাতে শিখিয়েছে।নিজের ভালোবাসা বিসর্জন দিয়ে গর্ভধারিণী মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে যাচ্ছে তাই থ্যাঙ্কস।যদিও এই ধরনের ইমোশনাল ব্লাক মেইল জীবন সমর্থম করে না এবং আমাদের কারো এমন করা উচিত না বলে মনে করে।

বড় ভাবী এবং রাঙ্গা ভাবী=চাচাত ভাইয়ের স্ত্রী।সাথী=রাঙ্গা ভাবীর ছোট বোন।

পর্ব-১পর্ব-২পর্ব-৩পর্ব-৪

চিঠির উত্তর এক কথায় হয়েছে কি না জানি না।কিন্তু কারো জীবনে যেন এইধরনের ঘটনা না ঘটে সেই দোয়াই করি।

ভালোবাসার জয় হোক,ভালবাসার মানুষের সাথে জীবন কাটুক।

Share this post
Repost0

রঙ্গীলার রঙের দুনিয়া

  • : রঙ্গীলার রঙের দুনিয়া
  • : Bangla blog,Bangla Kobita & Golpo.Funny Pictures & Jokes.
  • Contact

Chat Box-চ্যাট বক্স

Search-অনুসন্ধান

Archives-আর্কাইভ

Page-পাতা

Category-ক্যাটাগরি