কিছুক্ষণ পর আবার ফোন আসে। জীবন এইবার সঠিক নাম্বারটা লিখে কল ব্যাক করে।
-হেলো।
-হ্যাঁ,শুনেন জীবন ভাই।আমার হাতে বেশ সময় নেই।সাথীর সেই ১৭ পৃষ্ঠার চিঠি খানা এখন আমার হাতেই আছে।আমি কাল সকালেই কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দিব।বৃহস্পতিবার দুপুরের আগেই আপনার হাতে পৌঁছে যাবে আশাকরি।আপাততঃ আমি আপনাকে কিছু হিন্ট দিচ্ছি।সাথীর পাঠানো পার্সেল আবার ভালো করে চেক করে দেখুন।আপনি একটা অডিও টেইপ পাবেন।সেই টেইপ মনোযোগ দিয়া শোনার পর আপনার অনেক প্রশ্নের উত্তরই পেয়ে যাবেন আশা করি।এর চাইতে বেশী কিছু আমি আপনাকে বলতে পারব না,স্যরি।আমার ট্রেন আসার সময় হয়ে যাচ্ছে।সাথীর বাসা থেকে আমার বাসা তিন মাইল দূরে।আজ আর সাথীর সাথে দেখা হবে না।সাথীর বাসার ফোন নষ্ট তাই কথাও হবে না।
-ফোন নষ্ট হলে তো ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা।
-শুধু সাথীর না,ওদের এরিয়ার সবারই ল্যান্ড লাইন বন্ধ।কিসের মেইজর কাজ চলছে তাই ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে ফোন ঠিক হতে।আমি আগামীকাল ট্রাই করব বাট ক্যান্ট প্রমিজ উই।ভাগ্যে থাকলে সাথীর সাথে আপনার কথা হবে আগামীকাল।আপনার কাছে আমার একটা অনুরোধ যতক্ষণ পর্যন্ত সাথী নিজ থেকে ধরা দিবে না,আপনি ওকে খোঁজার চেষ্টা করবেন না।ভালো থাকুন।আল্লাহ হাফেজ।
অডিও টেইপ শোনার পর জীবন ফোন তুলে ডায়েল করতে লাগলো বড় ভাবীর নাম্বার।কিন্তু এক রিং করার পর ফোন রেখে দেয় জীবন।তারপর ডায়েল করে রাঙ্গা ভাবীর নাম্বার,রিং হচ্ছে কিন্তু কেউ ধরছে না।জীবন ফোন রেখে ভাবতে লাগলো।তাহলে কী সাথীই ডলি?এই বড় ভাবীও না দেশে যাওয়ার আর সময় পাইলেন না।কিন্তু ডলি এমন করতে যাবে কেন?সাথী যদি ডলি হয়ে থাকে রাঙাভাবী অবশ্বই চিনবেন।কারণ সাথী বলেছে আমার সাথে ওর একবার দেখা হয়েছে।বড় ভাবীও রাঙ্গাভাবীকে দেখে আসার পর থেকেই তো বলছিলেন তোর জন্য আমি একটা ডলি দেখে এসেছি।আমি এই ডলিটাকেই আমার দেবরানী করে ঘরে আনতে চাই।যদিও সাইজে একটু ছোট তোর সাথে মানাবে কিন্তু।মেয়ে তো নয় যেন ডানাকাটা পরী।সাথী তাহলে আমাকে রাঙ্গাভাবীর বিয়ের অনুষ্ঠানেই দেখেছে।
উফফ!এই রাঙ্গাভাবীও যে কেন ফোন ধরছেন না কিছুই বুঝতে পারছি না।আচ্ছা বড় আপাকে একটা ফোন দেই।
-বড় আপা! বড় ভাবীর দেশের ফোন আছে তোমার কাছে?
-বড় ভাবীতো গ্রামের বাড়িতে রে।গ্রামের বাড়িতে ফোন নেই।আর থাকলেও আমার জানা নেই।তুই রাঙ্গা ভাবীকে ফোন করে দেখ।উনার কাছে থাকলে থাকতে পারে।
-ট্রাই করেছি।রাঙ্গাভাবী তো ফোন ধরছেন না।
-ও মনে পড়েছে।রাঙ্গাভাবী মনে হয় বাপের বাড়ি চলে গেছেন।মাওই সাহেবার অবস্থা নাকি খুব সিরিয়াস,লাস্ট স্টেজে।বাবাই তো খবরটা আমাকে দিলেন।মনে হয় তোকে বলতে ভুলে গেছেন।পারলে গিয়ে একদিন দেখে আয় না।
-কিন্তু ওদের ঠিকানাতো জানিনা।ফোন নাম্বার ও নেই আমার কাছে।আমি কোনোদিন রাঙ্গাভবীর বাপের বাড়ি যাইনি।বিয়ের সময় হোলে গিয়েছিলাম।
-আমি মাত্র একবার গিয়েছিলাম,শুনেছি ওদের বাসা বদলি করেছেন।ঠিকানা জানা নেই আমারও।ফোন নাম্বার আছে।
বড় আপার কাছ থেকে নাম্বার এনে বারবার ট্রাই করছে কিন্তু সংযোগ পাচ্ছে না।অপ্যারেটারের সাহায্যে ট্রেস্ করার চেষ্টা করছিল কিন্তু এক্স-ডিরেটোরী নাম্বার বলে কোন হদীস মিলেনি।
পাগল হয়ে রাংগাভাইয়ার বিয়ের নিমন্ত্র কার্ড খুঁজতে লাগে।অবশেষে ফ্যামেলী এল্বামে পেয়ে যায় কার্ড।এক মুহুর্ত ও দেরী না করে শামীমকে নিয়ে পৌঁছে যায় কার্ডের ঠিকানায়।কিন্তু ওখান থেকেও নিরাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে।তারপর চলে যায় সাথীর পার্সেলের ঠিকানায়।কিন্তু শত চেষ্টার পরও কোন তথ্য উদ্ধার করতে না পেরে শুন্য হাতেই জীবনকে ফিরতে হয়েছে নিজ বাসায়।
শামীম জীবনের কাছ থেকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যা যা ঘটেছে সব শোনার পর বলছে।আমি নিশ্চিত এই ফোন ওয়ালিই ডলি।রাঙ্গাভাইয়ার বিয়ের অনুষ্ঠান থেকেই কাহানী শুরু অর্থাৎ তোকে ফোলো করছে।তোর রাঙা ভাবীর কোন রেলেটিভ হবে।
-আচ্ছা তোর রাঙ্গাভাবীর কোন ছোট বোন আছে?
-আছে মনে হয় একটা।আমার সাথে দেখা বা কথা হয়নি।তুইতো জানিস ভাবীর সাথেই আমার দেখা সাক্ষাত খুব কম হয়।৬/৭ ঘন্টার জার্নী তাই যেতে ইচ্ছে করে না।মাঝে মাঝে উনারাই আসেন। কিন্তু রাঙ্গাভাবীড় বোন এমনটা করতে যাবে কেন ভেবে পাচ্ছি না।
-হয়তো তোকে প্রথম দেখাতেই পছন্দ করে বসেছে।দুর থেকে তোকে জানা চেনা,তোর মন বুঝার চেষ্টা করছে।
-আরে মনে পড়েছে!রাঙ্গাভাবী কিছুদিন আগে কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন।উনার ছোট বোন নাকি অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ করতে চায় না।সে তার পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করবে।মানে লাভ ম্যারেজ।আমি বলেছিলাম লাভ,অ্যারেঞ্জ কোনটাই আমি করতে চাইনা।ভাবী শুধু হেসে ছিলেন আমার কথা শুনে।তুই তো আমাকে আরো চিন্তায় ফেলে দিলে শামীম।তুই যা ভাবতে পারিস আমি তা পারি না কেন?তুই অনেক দুরের চিন্তা করতে পারিস কিন্তু আমি পারি না।আমার মাথায় এইসব চিন্তা আসে না কেন রে?
-কারণ তুমি শালা নেগেটিভ চিন্তা করতে চাওয়া না।
-আচ্ছা ধরেনে যে সাথীই রাঙ্গাভাবির ছোট বোন।এখন আমার কী করা দরকার?
-রাত অনেক হয়েছে তোমার এখন নাকের ঢগায় তেল দিয়া ঘুমানো দরকার।গেইম ইজ অভার।এখন কারো কিছু করার নেই।কিছু করার থাকলে তোমার রাঙ্গাভাবীই করতেন।
-তোর কি মনে হয় না এই ব্যাপারে রাঙ্গাভাবীর আমার সাথে কথা বলার দরকার ছিল ?তাছাড়া সাথী তো সেদিনও বলেছে আমার জন্মদিনের আগে আমাদের দেখা হবে!অন্ততো মাওই সাহেবার অসুখের কথাটাতো আমাকে জানাতে পারতো!
-সব কথা সব সময় মুখে বলা সম্ভব হয় না।হয়তো সে চিঠিতে লিখেছে।তুমি তোমার সাথীকে নিয়া মরুভুমিতে যত খুশি সাঁতার কাটো।আমি এখন ঘুমাই।নাইট নাইট,হোল্ড টাইট।
পরদিন সকাল সাথীর বান্ধবী চিঠি কুরিয়ার করে এসে জীবনকে ফোন করে জানিয়ে দেয়।সে শত চেষ্টার পরও সাথীকে ঘর থেকে বের করতে পারেনি।সাথীর মায়ের সন্দেহ সাথী পালিয়ে যাবে।তাই সাথীকে কোথাও যেতে দিচ্ছেন না।সাথী পালিয়ে গেলে যে উনার শেষ আশা পুর্ণ হবে না।সাথী যখন ছোট ছিল তিনি সাথীর খালাকে কথা দিয়েছিলেন বড় হলে সাথীর খালাতো ভাইয়ের সাথে সাথীর বিয়ে দিবেন।সাথীর মা লাস্ট স্টেজে।নিজের সিদ্ধান্তে অটল।কারো কোন কথা শোনবেন না।শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের আগে সাথীকে বোনের হাতে সঁপে দিতে চান।তাই সাথীকে নিয়ে দেশে যাওয়া হচ্ছে বৃহস্পতিবার।সাথীর পরিবারের সবাই মিলে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করেছেন কিন্তু কারো কোন যুক্তিই কাজে লাগেনি।উনার একটাই কথা আমি এতো সব বুঝি না।আমি আমার বোনকে কথা দিয়েছি কথার বরখেলাপ করতে পারব না।
জীবনের আর বুঝতে বাকি নেই,সাথীই ডলি আর ডলিই রাঙ্গাভাবীর ছোট বোন।জীবনের বিশ্বাস রাঙ্গাভাবীর ফোন আসবে।ফোন নষ্ট বা কোন ঝামেলার কারণে হয়তো ভাবী ফোন করতে পারছেন না।
পরদিন সকাল চিঠিও আসে রাঙ্গাভাবীর ফোন ও আসে।সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যায়।দুঃখীত ভাই কিছুই করতে পারলাম না ছাড়া আর কিছুই বলার ছিল না ভাবীর।ভাবীর অনুরোধ জীবনকে এয়ারপোর্ট আসতে হবে সাথীর জন্য।শেষ বারের মতো জীবনকে কাছ থেকে একবার দেখে যাওয়ার আশা নিয়ে অপেক্ষা করবে সাথী জীবনের দেওয়া সেই লাল সুট পড়ে।বিকেল ৪টায় ফ্লাইট।এখন বাজে ১২টা।জীবন এখনো কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।জীবনের বাসা থেকে এয়ারপোর্ট পৌঁছাতে দুই আড়াই ঘন্টা লেগে যাবে।ট্রাফিক জ্যাম হলে ৪/৫ঘন্টাও লেগে যেতে পারে।
অনেক ভাবনা চিন্তার পর জীবন আর শামীম রওয়ানা দেয় এয়ারপোর্টের দিকে।অর্ধেক পথ পার হওয়ার পর ট্রাফিকের অবস্থা খুব খারাপ দেখে জীবন নেমে যায় এক ট্রেন স্টেশনের সামনে।ট্রেন নিয়ে জীবন পৌঁছে যায় এয়ারপোর্ট। আরো ২০/২৫ মিনিট দেরী হলে হয়তো জীবনকে শেষ দেখা না দেখেই ঊড়াল দিতে বাদ্য হতো সাথী।রয়ে যেত সাথীর মনে না পাওয়ার বেদনার সাথে শেষ বারের মতো না দেখার কষ্ট।রাঙ্গাভাবী জীবনকে এয়ারপোর্টের ইন্টারেন্সএর দিকে আসতে দেখেই এগিয়ে আসেন।জীবনকে উপরে ওয়েটিং রুমে চলে যেতে বলে তিনি চলে যান।কিছুক্ষণ পর ওয়েটিং রুমের দিকে লাল সুট পড়ে দ্রুত গতিতে একটা মেয়ে আসছে দেখে জীবনও সামনের দিকে এগিয়ে আসে।যত কাছে যাচ্ছে হার্টবিট ততো ফাস্ট হচ্ছে।জীবনের পড়নেও সাথীর দেওয়া সার্ট প্যান্ট।পিছন থেকে আওয়াজ আসে তাড়াতাড়ি করো সময় খুব কম।আমি ওইদিকটা ম্যানেজ করে আসছি।কোন কথা না বলেই সাথী এসে জড়িয়ে ধরে জীবনকে।জীবনের মনে অনেক প্রশ্ন,বুকে জমানো অনেক কথা,কিন্তু কেন যেন দুজনই নির্বাক স্পিচলেস হয়ে গেছে।কথা হচ্ছে চোখের ভাষায়।সাথী শক্ত করে জীবনের হাত ধরে থাকিয়ে আছে চোখের দিকে।দুচোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছে।মনের কথা বলার চেষ্টা করেও বলতে পারছে না।বারবার ব্যার্থ হচ্ছে।যতোবারই ব্যর্থ হয় ততোবারই জীবনকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরছে সাথী।
-চিঠি পেয়েছ?পরিচয় জানা হয়েছে?আরকোন কিছু জানতে চাও?চুপ কেন?এই দেখ তোমার দেওয়া সুট পড়ে এসেছি।আমাকে কেমন লাগছে বলবে না?তোমার বড় ভাবী বলতেন আমি নাকি পুতুলের মতো দেখতে।তাই উনি আমাকে ডলি বলতেন। আমি কি সত্যিই দেখতে ডলের মতো?আসলেইতো আমি একটা পুতুল।একটা জীয়ন্ত লাশ হয়েই তো বেঁচে থাকতে হবে বাকিটা জীবন।আমার বান্ধবীর কথাই ঠিক।মেয়ে হয়ে জন্ম নেওয়াটাই মনে হয় আমাদের অপরাধ।তুমি কি বোবার মতো শুধু আমার দিকে থাকিয়েই থাকবে,কিছুই বলবে না?তোমার কী কিছুই বলার নেই?
একটু দূর থেকে রাঙ্গাভাবী আওয়াজা দিচ্ছেন সময় শেষ।এক্ষনি যেতে হবে।সাথী চলে আয় তাড়াতাড়ি।সাথি গলা থেকে একটা ব্রৌকেন হার্ট প্যনাডানটের এক অংশ খুলে নিজ হাতে জীবনের গলায় পড়িয়ে দিয়ে আবারো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।জীবন কিছু বলতে চেয়েও পারছে না।সাথী জীবনকে ছাড়ছে না দেখে রাঙ্গাভাবী কাছে চলে আসেন।
-সাথী ছেড়ে দে বোন।ওকে যেতে দে।সাথী কোন কথাই শুনছে না।শক্ত করে ধরে আছে জীবনের গলা।চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করেছে।সাথীর বান্দবীও এসে পড়েছে।রাঙ্গাভাবী আর সাথীর বান্ধবী দুজন মিলে সাথীকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন।সাথী গলা ছেড়ে জীবনের হাত ধরে আছে।জীবন বাম হাত দিয়ে পকেট থেকে একটা ক্রাইং হার্ট প্যানডেন্ট সাথীর হাতে তুলে দিয়ে বলছে আই অ্যাম স্যরি,থাঙ্কস ফোর এভেরীথিং সাথী।
তারপর শুরু হয় টানাটানি।জীবন সাথীকে বলছে,পিছন দিকে না থাকিয়ে চক্ষু বন্ধ করে এক দৌড়ে চলে যাওয।আমার দিকে থাকালে তুমি যেতে পারবে না আর আমিও তোমাকে ধরে রাখার লোভ সামলাতে পারব না।তুমি সত্যিই একটা পুতুল।তোমাকে সাজিয়ে দেখার স্বাদ থেকেই গেল।আমার জায়গায় অন্য কোন ছেলে হলে সত্যিই কিডন্যাপ করে নিয়ে যেত,কিন্তু আমি হতভাগা_____।এই বলে সাথীর হাত ছেড়ে জীবন দৌড়ে চলে যায়।
স্যরি এবং থ্যাঙ্কস কেন? জীবন সাথীর বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে।সাথীকে চিনতে ভুল এবং দেরী করেছে,সাথীকে ততোটা সিরিয়াসলী নেয়নি যতটা প্রয়োজন ছিল।সাথীকে ধরে রাখার জন্য কিছুই করতে পারল না তাই স্যরি।
সাথী বিষণ্ণতা দূর করে জীবনকে নতুন করে হাসতে এবং হাসাতে শিখিয়েছে।নিজের ভালোবাসা বিসর্জন দিয়ে গর্ভধারিণী মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে যাচ্ছে তাই থ্যাঙ্কস।যদিও এই ধরনের ইমোশনাল ব্লাক মেইল জীবন সমর্থম করে না এবং আমাদের কারো এমন করা উচিত না বলে মনে করে।
বড় ভাবী এবং রাঙ্গা ভাবী=চাচাত ভাইয়ের স্ত্রী।সাথী=রাঙ্গা ভাবীর ছোট বোন।
পর্ব-১পর্ব-২পর্ব-৩পর্ব-৪
চিঠির উত্তর এক কথায় হয়েছে কি না জানি না।কিন্তু কারো জীবনে যেন এইধরনের ঘটনা না ঘটে সেই দোয়াই করি।
ভালোবাসার জয় হোক,ভালবাসার মানুষের সাথে জীবন কাটুক।